April 29, 2024, 5:19 am
ব্রেকিং নিউজ

মিয়ানমারের ৮০ শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Friday, March 15, 2024
  • 50 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:
একে একে ঘাঁটি হারিয়ে কোণঠাসা মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী। দিন যত যাচ্ছে আরও বেকায়দায় পড়েছে ক্ষমতাসীনরা। বিদ্রোহীদের চাপ সামলাতে না পেরে ইতোমধ্যেই নানা কৌশল অবলম্বন করছে তারা। স্কুল-কলেজ থেকে তরুণ-তরুণীদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবুও ইতিবাচক কোনো ফলাফল পাচ্ছে না তারা। এবার বিদ্রোহীদের ঠেকাতে মিয়ানমারের ৮০ শহরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করল জান্তা। বৃহস্পতিবার ইরাবতির এক খবরে বলা হয়েছে, দেশটির বিভিন্ন শহরে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের স্বাধীন মানবাধিকার সংগঠন আথান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মানবাধিকার সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, এই ৮০ শহরের মধ্যে সাগাইন অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি শহর অবস্থিত। সেই অঞ্চলটির ৩৪টি শহরের মধ্যে ২৭টিতেই কোনো ধরনের ইন্টারনেট, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ একেবারেই নেই। এ ছাড়া, কায়াহ রাজ্যের সাতটি শহরের পাঁচটিতেই সব ধরনের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি শান, চিন, কাচিন ও মন রাজ্যের বিভিন্ন শহর এবং তানিনথারি, মগওয়ে, বাগো ও আয়েওয়ারওয়াদির মতো শহরগুলোতেও একই দৃশ্যের দেখা মিলছে। ৮০টি শহরের মধ্যে কোনোটিতে দুই সংযোগের একটিও নেই, আবার কোনো কোনোটিতে ইন্টারনেট থাকলেও টেলিফোন সংযোগ নেই। কোনোটিতে আবার টেলিফোন সংযোগ থাকলেও ইন্টারনেট নেই। মূলত মিয়ামারের রাখাইন রাজ্যে জান্তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত জান্তাবাহিনী ৯টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ক্ষমতাসীদের কাছ থেকে অন্তত ১৮০টি ফাঁড়ি ও ঘাঁটির দখল নিয়েছে তারা। রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েতেও মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আথান এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি পরিষ্কার যে, জান্তাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণ ও তাদের মতকে দমন করছে। তারা তথ্যের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে চায়।’ আরও জানা যাচ্ছে, গত মাসেই রাখাইন রাজ্যের দু’টি ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছে জান্তাবাহিনী। লাইট ইনফ্যান্টি ব্যাটেলিয়ন ৩৬ নামে জান্তাবাহনী ট্যাংআপ টাউনশিপের একটি শহর পরিত্যাগ করার নির্দেশে এমন কাজ করেছেন। ব্যাটালিয়নের একজন সদস্য মিও খান্ত আরকান আর্মির একটি রেকর্ড করা ভিডিওতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ট্যাংআপ রোডের মা-ই শহরের প্রবেশপথে বয়ে যাওয়া একটি ব্রিজ উড়িয়ে দেয় তারা। সেই ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল থেত নাইং উইন।

আরাকান বিদ্রোহীগোষ্ঠীদের থেকে বাঁচতে জান্তাবাহিনীকে রামরি শহরে যাত্রা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর একই তারিখে রাতে কিয়াউক্কি পাউক ব্রিজ নামে আরও একটি ব্রিজ উড়িয়ে দেয় তারা। এরই মধ্যে নিজেদের দল ভারী করতে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদের যাচাই করছে জান্তাবাহিনী। একে একে জনগণদের বয়স যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। বিশেষ করে নাইপিটাও এবং ইয়াঙ্গুনে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।

সামরিক কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছিলেন দেশের ১৪ মিলিয়ন যুবক নিয়োগের জন্য যোগ্য। সংখ্যাটি দেশের ৫৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ। ইয়াঙ্গুনের ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বিবরণ সংগ্রহ করা শুরু করেছে তারা। এমনকি কুংইয়াঙ্গন টাউনশিপের তাও খায়ান লে গ্রামে, গ্রাম প্রশাসক ২৪ বছরের বেশি এবং ৩৫ বছরের কম বয়সি যুবকদের বাবা-মা বা পরিবারের নেতাদের প্রশাসকের অফিসে সাক্ষাৎ করার নির্দেশ দিয়েছে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102