May 13, 2024, 4:25 pm
ব্রেকিং নিউজ

কুমিল্লায় হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Sunday, April 28, 2024
  • 25 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

কুমিল্লায় চলমান দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র দাবদাহের ধকল কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না নবজাতকসহ শিশুরা। এতে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের পরিবারের সদস্যদের অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এদিকে, চলতি দাবদাহে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার সবকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শিশু রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। কুমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। অপরদিকে জেলার মুরাদনগরে দাবদাহে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

এমন প্রখর রোদ আর তীব্র গরমের অতীত অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই বাসিন্দাদের। এতে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। দাবদাহে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছে। একদিকে প্রখর রোদে কাজ করতে পারছে না, অন্যদিকে গরমে পরিবারের শিশুসহ অন্য সদস্যরা জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড ও হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।

কুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চলমান দাবদাহে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। এ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ৪০টি শয্যা থাকলেও ভর্তি আছে প্রায় ১৪২ জন। এদের সবাই জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। বহির্বিভাগেও প্রতিদিন শতাধিক শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে এ হাসপাতালে প্রতিদিন ২-৩শ রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চলমান দাবদাহে ৪-৫শ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু।

কুমেক হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা সবখানেই রোগী ও স্বজনদের ভিড়। চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, শিশুদের সঠিকভাবে যত্ম নিতে হবে। মা-বাবার সচেতন থাকতে হবে। শিশুর পোশাক, বিছানা ও ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘাম দিলে শিশুর শরীর দ্রুত মুছে ফেলতে হবে। শিশুর যাতে ঠান্ডা না লাগে, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা কম আক্রান্ত হচ্ছে। স্কুল খুলে দিলে শিশুরা পানি থেকে শুরু করে বাইরের খাবারে ঝুঁকে পড়বে। এতে পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া, জন্ডিস, হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ভারী কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102