বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়িচাপায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন নারী কাউন্সিলর।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাড়িচাপায় নারী কাউন্সিলরকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মেয়র ও দুই কাউন্সিলরসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। পরে তিনি রাতেই আবার ওই অভিযোগটি পালটিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ৮ জনকে আসামি করে পূর্ণাঙ্গ অভিযোগ দেন।
বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ড করেন ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে আরও ৪-৫ জনকে।
মামলায় বাকি আসামিরা হচ্ছেন- কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।
তবে এ মামলায় কোনো আসামি গ্রেফতার নেই। আর নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে মেয়র মুহিবুর রহমান ও ৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। উভয়পক্ষই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করছেন বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের তথ্য।
সম্প্রতি মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়রসহ ৭ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ. রাজ্জাক বলেন, মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।