May 12, 2024, 6:44 am
ব্রেকিং নিউজ

শিশু বক্তা কে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ভাংচুর. আটক ৪. রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ দুই পুলিশ সহ কয়েক জন আহত

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Tuesday, February 20, 2024
  • 54 দেখা হয়েছে

লতিফুর রহমান রাজু.সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ কেন্দ্রে একদল লোক হামলা ভাংচুর করেছে । শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে মাহফিলে প্রবেশ কে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা বলে জানা গেছে । হামলায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দুই পুলিশ সহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেশ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড গ্যাস ছুঁড়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্য সহ কয়েকজন মুসল্লী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।আটককৃতরা হলেন, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মোজাম্মিল হক লিটন (৩৩), একই ইউনিয়নের কাস্তাল গ্রামের মৃত মাওলানা তবারক ইসলামের ছেলে রায়হান, পৈলানপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে বশির আহমেদ (৩৮), তার সহোদর নাসির উদ্দিন। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশওস্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে সুনামগঞ্জজেলারতাহিরপুর, উপজেলার বাদাঘাট বাজার সংলগ্ন ‘বাদাঘাট আলেয়া মাদ্রাসা’ মাঠে হিলফুল ফজল পরিষদ নামে একটি সংগঠন ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজন করা করে। এতে প্রধান অতিথি করা হয় আলোচিত শিশু বক্তা মুফতি রফিকুল ইসলাম মাদানিকে। মাহফিলে অন্যান্য বক্তাদের ওয়াজ শেষে প্রধান অতিথি মঞ্চে আসতে চাইলে অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাতে বাধা প্রদান করে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। হঠাৎ মঞ্চে সংবাদ আসে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর মাহফিলের মুসল্লীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাদাঘাট তদন্ত কেন্দ্রে ঘেরাও করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক সংঘর্ষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিতে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড গ্যাস ছুড়ে। এঘটনায় এলাকায় বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর পর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর সার্কেল) মো. নাসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, বাদাঘাট বাজার সংলগ্ন বাদাঘাট মাদ্রাসা মাঠে হিলফুল ফজল পরিষদ নামে একটি সংগঠন কোনো রকম প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দুইি দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজন করে। সোমবার বাদ জোহর মাহফিল শুরু হয়ে রাত ১২টা অবধি সমাপ্ত হয়। হঠাৎ শিশু বক্তা মুফতি রফিকুল ইসলাম মাদানীকে মাহফিলে আসতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে বলে মুসল্লীগণের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এমন ও রটানো হয় । তারপর শত শত মুসল্লিগণ সংঘবদ্ধ হয়ে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চারপাশে জড়ো হয়ে অতর্কিত ভাবে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা, ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

তাহিরপুর থানার (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, রফিবুল ইসলাম মাদানীকে পুলিশ আটক করেনি, তিনি মূলত তাফসির মাহফিলে আসেননি। এটি মুলত গুজব রটিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সুপার ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান যে বা যারাই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে ।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102