May 12, 2024, 12:42 am
ব্রেকিং নিউজ

স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে প্রবাসী আয়

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Friday, April 7, 2023
  • 73 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তবে কৃষিতে উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও তার প্রভাব নেই বাজারে। দেশি-বিদেশি নানা প্রভাবকের কারণে মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া।

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তবে কৃষিতে উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও তার প্রভাব নেই বাজারে। দেশি-বিদেশি নানা প্রভাবকের কারণে মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, বিদায়ী মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। টাকার অংকে যা ২১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে)। একই সময়ে প্রবাসে গেছেন এক লাখ ৯ হাজার ৫০২ জন। প্রবাসে যাওয়া জনশক্তি বা দেশে আসা প্রবাসী আয় দুটোই বিএমইটি বা ব্যাংকিং খাতের মতো দুটো ফর্মাল চ্যানেলে। এর বাইরে ইনফর্মাল চ্যানেলে অর্থ যেমন এসেছে; বিপুলসংখ্যক মানুষও সরকারের হিসাবের বাইরে বিভিন্নভাবে কাজের সন্ধানে বিদেশে গেছেন। যা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাবে নেই।

প্রবাসে যাওয়া জনশিক্ত ও প্রবাস থেকে পাঠানো বৈদেশিক আয় দুটোই সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বেশি। অর্থনীতির প্রধান তিন ভিত্তির অন্যতম প্রধান ভিত্তি প্রবাসী আয়ের এই ইতিবাচক খবরে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে।

চলতি ২০২৩ সালের তিন মাস জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে প্রবাসী আয় এসেছে যথাক্রমে ১৯৫ কোটি ৮৯ ডলার, ১৫৬ কোটি ৫ লাখ ডলার ও ২১০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। অর্থ বছরের হিসাবে ২০২২-২৩ এর জুলাই-মার্চ ৯ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে এক হাজার ৬০৩ কোটি তিন লাখ ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থ বছরে এসেছিল দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার এবং করোনা মহামারির বছর ২০২০-২১ অর্থ বছরে এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

রপ্তানি আয় এখনো ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ ৯ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আগের ফেব্রুয়ারি মারে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। তথ্য বলছে, রপ্তানি আয়ে এখনো ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলেও তা কমে আসছে।

এ সময়ে ডলারের চাহিদা কমাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কার্যত কোনো কাজে আসছে না। চলতি অর্থ বছর ২০২২-২৩ এর প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এক হাজার ৩৮২ কোটি ৮০ লাখ (১৩ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে তিন হাজার ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য।

একমাত্র প্রবাসী আয়ই ইতিবাচক ধারায় আছে। অবশ্য এর জন্য সরকারকে নানা রকম উদ্যোগ নিতে হয়েছে। প্রবাসী আয় বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো—বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা, প্রবাসীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, প্রবাসী আয় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা ও রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।

এছাড়া সেবার বিনিময়ে দেশে প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ফরম ‘সি’ পূরণ করার শর্ত শিথিল করার ব্যবস্থা করা হয়। ঘোষণা ছাড়াই সেবাখাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ২০ হাজার মার্কিন ডলার দেশীয় মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব উদ্যোগের ফলে প্রবাসী আয় যেমন বাড়ছে। যে হারে প্রবাসে যাওয়া মানুষের সংখ্য বাড়ছে তাতে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারাকে আরও টেকসই করবে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102