May 18, 2024, 9:23 am
ব্রেকিং নিউজ

তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ।।অধিক লাভের আশায় স্বপ্ন বুনেছেন কৃষকরা

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Tuesday, April 4, 2023
  • 167 দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
তরমুজের যেমন বাম্পার ফলন হয়েছে, তেমনি সাইজও ছিল ভালো। তাই অধিক লাভের আশায় স্বপ্ন বুনেছিল পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কৃষকরা। তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠজুড়ে তরমুজ ক্ষেত। চোখ যেদিকে যায়, সেদিকেই শুধু তরমুজ আর তরমুজ। কিন্তু সেই ক্ষেতে জমে রয়েছে প্রচুর বৃষ্টির পানি। নিষ্কাশনে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন কৃষকরা। আবার কেউ সেই ক্ষেতে জমে থাকা পানি সরাতে নালা কেটে দিচ্ছেন। তবে এসব ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। ফলে মহাজনদের দাদনের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মোট ২৩৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ধানখালী ৫৮০ হেক্টর, চম্পাপুর ৬১০ হেক্টর, বালিয়াতলী ১৪০ হেক্টর, নীলগঞ্জ ৮ হেক্টর, লতাচাপলী ২৯৫ হেক্টর ও ধূলাসার ইউনিয়নে ৩০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছে কৃষকরা। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে কমবেশি তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় অন্তত তিন শতাধিক তরমুজ চাষি প্রতিবছর তরমুজ চাষাবাদ করছেন। এদের মধ্যে ধানখালী এবং চম্পাপুর তরমুজ চাষের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত।

কৃষকরা জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাকিতে সার এবং কীটনাশক নিয়ে তরমুজ চাষাবাদ করেন। পরে তরমুজ বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে থাকেন। এখনও অনেক ক্ষেতে তরমুজ পরিপক্ক হয়নি। আবার কোনো কোনো ক্ষেতের তরমুজ বিক্রিও হয়েছে। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ক্ষেতে যে পরিমাণ পানি জমেছে, এতে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। আরো বৃষ্টি হলে ক্ষেতে ছোট বড় তরমুজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর বিনিয়োগের মূল টাকা থেকে ঘাটতিতে পড়বেন বলে তরমুজ চাষিরা জানিয়েছেন।

তরমুজ চাষি মনির হোসেন হাওলাদার জানান, তিনি দু’একর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করেছেন। কেবল পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। পাইকাররা ক্ষেত দেখতে আসতে ছিল। এমন সময় বৃষ্টি। ফলে ক্ষেতে জমে রয়েছে পানি। এখন লাভ দূরের কথা, আসল টাকা পাবো কিনা, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, ধানখালী এবং চম্পপুর ইউনিয়নের তরমুজ ক্ষেতগুলো দেখেছি। এছাড়া মাঠে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102