April 27, 2024, 2:39 am
ব্রেকিং নিউজ

নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি।। মন্দায় কেটে গেল একটি বছর, সামনে কী?

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Saturday, December 31, 2022
  • 82 দেখা হয়েছে

ড. আর এম দেবনাথ 
আজ খ্রিষ্টীয় বছরের শেষদিন। আগামীকাল ব্যাংকের নতুন বছর। বাংলা পৌষ মাসের আজ ১৬ তারিখ। আবার অর্থবছরের হিসাবে বললে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের শেষ দিবস। শীত পড়েছে। মাঠে এখনো আমন ফসল। ঘরে ঘরে নতুন ধান ও চাল। অতএব এ বছরের ভালো খবর দিয়েই শুরু করি ২০২২ সালের আলোচনা।

২০২২ সাল শেষ হচ্ছে বাম্পার আমন ফসল দিয়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এটা আমাদের জন্য ভীষণ বড় খবর। ধান-চালের অভাব এ বছর হয়নি। কিন্তু যে সমস্যা দেশবাসীকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করেছে তা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি/খাদ্য মূল্যস্ফীতি। ফলন ভালো, স্টকে খাদ্যশস্য আছে এবং আমদানিও সন্তোষজনক; তবু চালের দাম সারা বছর ছিল ঊর্ধ্বমুখী। শুধু চাল বলি কেন, সব ধরনের ভোগ্যপণ্য, মধ্যবর্তী পণ্য এবং কাঁচামালের দাম বেড়েছে।

কল্পনাতীতভাবে বেড়েছে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম। আর যায় কোথায়! হু হু করে সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, এ মূল্যস্ফীতি আমদানিজনিত কারণে। আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। অতএব আমাদের বাজারও চড়া। চড়া সবকিছুই। চাল, ডাল, নুন, তেল, শাকসবজি, তরিতরকারি ইত্যাদির চড়া দাম ছিল সারা বছর। মাছ-মাংস, দুধ-ডিম, মুরগি-খাসি সবকিছুতেই লেগেছে মূল্যস্ফীতির ছোঁয়া।

সরকারি হিসাবেই ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার যেখানে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, সেখানে নভেম্বরে তা ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে উন্নীত হয়। নজিরবিহীন মূলস্ফীতি বিগত অনেক বছরের মধ্যে। কিন্তু সমস্যা মূল্যস্ফীতি নয়, কম হারে মজুরি বৃদ্ধি। মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধি সমানভাবে হলে কোনো সমস্যা ছিল না। তা হয়নি। গত অক্টোবরে মজুরি বৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ হারে।

এই ব্যবধানের কারণে গরিব মানুষ ও মধ্যবিত্তের জীবন ২০২২ সালে কেটেছে অতিকষ্টের মধ্যে। দেখা যাচ্ছে, মধ্যবিত্তের আয়ের একটা উৎস ব্যাংক আমানতের ওপর সুদের হার-তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সর্বোচ্চ ৬ শতাংশই রয়ে গেছে সারা বছর। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বাম্পার ফলন হলেও যেমন বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, তেমনি বেড়েছে সাধারণ মূল্যস্ফীতি।

মূল্যস্ফীতি ও ফসলের অবস্থাই অর্থনীতির হালচালের একমাত্র পরিচায়ক নয়। রয়েছে আরও অনেক সূচক। যেমন আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বেসরকারি বিনিয়োগ, ডলারের মূল্য, স্টক বাজার, আমানত প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব ও সরকারি ব্যাংকের অবস্থা ইত্যাদি। এর মধ্যে যদি প্রথমেই আমরা রপ্তানিকে বিবেচনায় আনি তাহলে দেখা যাবে বছরের শেষের দিকে একটু খারাপ হয়ে এর অবস্থা নভেম্বরে গিয়ে ভালো হয়। জুলাই-অক্টোবরে নিুমুখী থেকে নভেম্বরে গিয়ে রপ্তানির পরিমাণ বেশ বেড়েছিল। জুলাই মাসের মাত্র ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারের জায়গায় নভেম্বর মাসে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে।

এখনো বাংলাদেশ বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়। বৈদেশিক বাজার ঠিক আছে। দেশে ২০২২ সালেও অনেক ‘গ্রিন’ পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। অবশ্য এ বছর নতুন কোনো বাজার সৃষ্টির সুখবর আমরা পাইনি। তবে লক্ষণীয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমাদের আমদানির উৎস হিসাবে ভারত আকর্ষণীয় দেশ হিসাবে অবির্ভূত হয়েছে। এটা মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহণ সংকট, ‘স্যাংকশন’ ইত্যাদির কারণে ঘটেছে। কতগুলো পণ্য সরবরাহে ভারত আমাদের কোটার সুযোগ দেবে বলে ২০২২ সালে স্থির হয়েছে। এতে আমাদের চাল, ডাল, চিনিসহ অনেক পণ্যের সরবরাহ অনেকটা স্থিতিশীল হবে বলে ধারণা।

রপ্তানির পর আসে আমদানি। আমদানি বাণিজ্যে এবার বিশাল পরিবর্তন এসেছে। হঠাৎ করে ডলারের দাম ৮৮ টাকা থেকে ১০৮-১১০ টাকায় উঠে যাওয়ায় আমদানি দায় মেটানো কঠিন হয়ে উঠেছিল। আগের দেনা পরিশোধ, ঋণ পরিশোধ এবং বর্তমান আমদানি চাহিদা মেটাতে গিয়ে সংকট তৈরি হচ্ছিল। এ অবস্থায় সরকার আমদানি বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরে। ঋণপত্রের (এলসি) মার্জিন বাড়ানো হয়, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়, ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা হয় যাতে আমদানি হ্রাস পায়।

অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে যেভাবে আমদানি বাড়ছিল তা বন্ধ হয়। যেমন অক্টোবরে ‘এলসি’ খোলার পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। সে জায়গায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও নভেম্বরে ‘এলসি’ খোলার পরিমাণ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলারে। ডিসেম্বরে এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল।

ডলার সংকট এখনো বিদ্যমান। বাজারে ডলার নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার দিচ্ছে বাজারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। আরও কমেছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের ফলে। রিজার্ভ এ বছর প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে, যদিও এখনো আমাদের ৩-৪ মাসের আমদানি করার মতো রিজার্ভ মজুত আছে।

এবার আসি ‘রেমিট্যান্সের’ হিসাবে। রেমিট্যান্স আগের মতো বাড়ছে না। বলা হচ্ছে, এর কারণ হুন্ডি। সরকারি দাম এবং ‘কার্ব মার্কেটের’ দামের মধ্যে বিরাট পার্থক্য থাকায় মানুষ হুন্ডির দিকেই ঝুঁকছে। এর ফলে মাঝখানে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও বছরের শেষের দিকে এ ধারা বিঘ্নিত হয়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১০ কোটি ডলার। এর পরিমাণ নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলারে নেমে আসে।

এক্ষেত্রে ডিসেম্বরেও আশাবাদের কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির একটি প্রধান স্তম্ভ। এতে ভাটা দেখা দেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। হতে পারত এর বিপরীতে বৈদেশিক ঋণের ছাড় বাড়ছে। না, তা সেভাবে হচ্ছে না।

এদিকে সরকারের রাজস্বেও টার্গেটের তুলনায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জুলাই-নভেম্বর মাসে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২০ টাকা। দেখাই যাচ্ছে, যে হারে রাজস্ব বাড়ার কথা ছিল, সে হারে বাড়ছে না। ফলে সরকারের ঋণ বাড়ছে। ২৮ ডিসেম্বর যুগান্তরের এক রিপোর্টে দেখলাম সরকার এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে।

এখানে জরুরি কথা হচ্ছে, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া এক বিষয় নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া খারাপ লক্ষণ। এতে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি আরও বাড়ে। অথচ তা-ই হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেখা যাচ্ছে রাজস্বের অভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নও বিঘ্নিত হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল মাত্র ১৮ শতাংশ।

আসা যাক বেসরকারি বিনিয়োগের প্রশ্নে, যা উন্নয়নের অন্যতম সূচক। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের প্রশ্নে আমাদের দেখতে হবে বেসরকারি ঋণের পরিসংখ্যান। দেখা যাচ্ছে, এ অর্থবছরে বেসরকারি ঋণের টার্গেট আছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। এর বিপরীতে অক্টোবরে বেসরকারি ঋণ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। হিসাবে দেখা যাচ্ছে, খুব বেশি পিছিয়ে নেই আমরা।

কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র। মূল্যস্ফীতি যেভাবে ঘটছে, আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে কথা বললে এ ঋণবৃদ্ধি মূলত উন্নয়নের সূচক নয়। ঋণবৃদ্ধি পেয়েছে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। পণ্যের দাম বেশি, অতএব ঋণের দরকারও বেশি। অথচ কাজের পরিমাণ একই। এখানেই সমস্যা। বেসরকারি ঋণ/বেসরকারি বিনিয়োগ এই জায়গায় আটকা পড়েছে। রয়েছে আরেক সমস্যা। আর সেটা হচ্ছে আমানতে স্থবিরতা। আগে যে হারে আমানত বাড়ত, এখন সেভাবে আমানত বাড়ছে না। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের খরচ বেড়েছে, আয় বাড়েনি। সঞ্চয় কম। বরং সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে সঞ্চয়কারী/মধ্যবিত্ত। তাই ব্যাংকে আমানত বৃদ্ধির হার কম।

অথচ ঋণের পরিমাণ/চাহিদা বেড়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের লিক্যুইডিটি বা তারল্য সংকট আছে, যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ জোগান দিচ্ছে। হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। অথচ ২০২১ সালের একই সময়ে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে, অর্থাৎ আমানত বৃদ্ধির পরিমাণ যথেষ্ট কম। এতদসত্ত্বেও আমানতকারীদের উৎসাহিত করার জন্য, সঞ্চয়কারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমানতের ওপর সুদের হার বাড়ানো হয়নি। বাজার অর্থনীতির নীতি লঙ্ঘন করে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সুপারিশ অমান্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ব্যাপারে থেকেছে নির্বিকার।

আসা যাক শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে। শেয়ারবাজার হলো অর্থনীতির দর্পণ। অর্থনীতির অবস্থা ভালো থাকলে শেয়ারবাজার চাঙা থাকে। আর অর্থনীতিতে মন্দা থাকলে এর প্রতিফলন ঘটে শেয়ারবাজারে। আমাদেরও তা-ই হয়েছে। এ বছর শেয়ারবাজারে কোনো সুখবর ছিল না। কী লেনদেনের ক্ষেত্রে, কী সূচক বৃদ্ধিতে, কী নতুন শেয়ার আসার ক্ষেত্রে-কোথাও কোনো সুখবর নেই। দেখা যাচ্ছে, জানুয়ারি মাসে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সূচক ছিল ৬ হাজার ৮৫৩, যা ডিসেম্বরে নেমে এসেছে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে। তাও বাজে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে।

লেনদেনের ক্ষেত্রেও তা-ই। দৈনিক শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ গড়ে ৪০০ কোটি টাকার মতো ছিল। কোনো বড় ধরনের উত্থান এক্ষেত্রে ছিল না। আবার বিপরীতে সোনার বাজার ছিল রমরমা। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সোনা কিনছে এখন। খোলাবাজারে সোনার দাম বছরব্যাপী ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফ্ল্যাট/জমি বেচাকেনায় তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রিহ্যাব মেলায় ৩৫১ কোটি টাকার জমি/ফ্ল্যাট ইত্যাদি বিক্রি ও বুকিং হয়েছে, যা গেল বছরের সমানই বলা চলে।

সব মিলে নতুন বছর ২০২৩ সাল সম্পর্কে কী ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়? খুবই কঠিন বলা ২০২৩ সাল কেমন যাবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হবে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে সরবরাহ সংকট/সাপ্লাই চেইন সংকট অব্যাহত থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য হ্রাসের কোনো লক্ষণ নেই। দেশে দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন হ্রাস। আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা বিঘ্নিত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের অবস্থা ভালো নয়। তারা যুদ্ধ করছে করোনার বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, বিশ্বে ‘ভীষণ মন্দা’ সামনে। ২০২৩ সালে সারা বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস পাবে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম। এ অবস্থায় আমাদের কী হতে পারে? আমাদের সম্পর্কেও ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। আমরা এখন বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশ্বের যে ভাগ্য, আমাদেরও সেই ভাগ্য। সহসা মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তেলের দাম কমবে, গ্যাসের দাম কমবে, ডলার সংকট কাটবে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে-এমন ধারণা করা যায় না। তবে খাদ্যে এখনো আমরা ভালো আছি-এটি একটি আশার খবর। সরকার খাদ্য নিরাপত্তার প্রতি বিশেষ নজর দিলে ২০২৩ সালে অন্তত স্বস্তিতে থাকা যাবে।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(সূত্র-যুগান্তর)

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102