চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার (কুস্তি প্রতিযোগিতা) ১১৫তম আসর বসছে আজ। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার দেড় শতাধিক বলী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন চলবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত। তবে আয়োজকরা বলছে, যাচাই-বাছাই করে মূল পর্বের জন্য ৮০ জন বলীকে নির্বাচন করা হবে। সেখান থেকে চারজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এদের মধ্যে একজনকে চ্যাম্পিয়ন, একজনকে রানার আপ এবং অপর দুজনকে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ হিসাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে লালদীঘি ময়দানে বলীখেলার জন্য বালুর তৈরি রিং (মঞ্চ) প্রস্তুত করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে।
সরেজমিন লালদীঘি এলাকায় দেখা যায়, মেলায় মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, গাছের চারা, ফুলের ঝাড়ু, হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, দা, বঁটি, ছুরিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালি ও লোকজ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বিক্রি শুরু করে করছেন ব্যবসায়ীরা। মেলা উপলক্ষ্যে শুক্রবার রাত থেকেই নানা রকম পণ্যের পসরা নিয়ে অবস্থান নেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। মেলা উপলক্ষ্যে তিনদিনের জন্য লালদীঘি ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
কুমিল্লা থেকে মৃৎশিল্প নিয়ে সুজন পাল বলেন, ‘আগেভাগে না এলে মেলায় ভালো জায়গা পাওয়া যায় না। গত বছর একদিন দেরিতে আসার কারণে দোকান বসাতে কষ্ট হয়েছিল।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি স্থানীয় আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী যুগান্তরকে বলেন, ‘বলী খেলা আয়োজনে রিংসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ বলেন, ‘এবার ৩টার পরিবর্তে বিকাল ৪টায় খেলা শুরু করা হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসবে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া বলীখেলা শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনিং কোর্স চালু করা হবে।’