May 5, 2024, 11:03 am
ব্রেকিং নিউজ

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Thursday, April 25, 2024
  • 37 দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার (কুস্তি) ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার বাঘা শরীফ। বৃহস্পতিবার বিকালে লালদীঘির মাঠে হাজারো দর্শকের সামনে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে তিনি একই জেলার মোহাম্মদ রাশেদ বলীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট অর্জন করেন।যথারীতি রাশেদকে রানার্সআপ ঘোষণা করেন বিচারক। এবারের আসরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন খাগড়াছড়ির বলী সৃজন চাকমা।

বিকাল ৪টায় বলীখলা শুরু হলেও দুপুরের পর থেকেই নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ লালদীঘির মাঠে আসতে শুরু করেন। ফলে খেলা শুরুর আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে খেলা শুরু হয়। প্রথম রাউন্ডে প্রায় ৮০ জন বলী অংশ নেন। এরপর শুরু হয় চ্যালেঞ্জিং রাউন্ড। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফের হাতে ট্রফি ও সম্মাননা তুলে দেন অতিথিরা।

এর আগে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ-সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর ও সিএমপির উপকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। খেলা পরিচালনা করেন আয়োজক কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ।

জব্বারের বলীখেলায় ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। কিন্তু এবার তিনি খেলায় অংশ নেননি। নিজের দুই শিষ্যকে সুযোগ করে দিতেই তার এই ত্যাগ বলে দাবি করেন তিনি। তার দুই শিষ্যের একজন বাঘা শরীফ চ্যাম্পিয়ন এবং রাশেদ রানার্সআপ হয়ে শাহজালালের ত্যাগের মর্যাদা রেখেছেন। চ্যাম্পিয়ন হিসাবে বাঘা শরীফের হাতে সম্মাননার ৩০ হাজার টাকা ও ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথি। রানার্সআপ হিসাবে রাশেদকে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি।

বলীখেলা উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে। আজ এ মেলা শেষ হবে। সরেজমিন দেখা যায়, কোতোয়ালি মোড় থেকে আন্দরকিল্লা মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় মেলা চলছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী অস্থায়ী দোকান বসিয়ে গৃহস্থালি ও রান্নাঘরের বাসন, মৃৎশিল্প, খেলনা, মিষ্টি, ঝাড়ু, পাটি, আসবাবপত্র এবং কাঠ ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুবকদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন এই কুস্তি প্রতিযোগিতা। প্রতিবছর ১২ বৈশাখ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102