May 3, 2024, 7:36 am
ব্রেকিং নিউজ

ধ্বংস, দুঃখ ও শোকের মধ্যেও রাফাহবাসীর ঈদ পালন

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Wednesday, April 10, 2024
  • 30 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঈদের জামাত আয়োজন সম্ভব হবে এমন পরিচ্ছন্ন-পরিসর জায়গার দেখা মেলা ভার। তবু ঈদ এসেছে গাজাবাসীর জীবনে।

দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলটির রাস্তায় রাস্তায় ছোটখাটো মেলা বসেছে খাবারদাবার, কাপড়চোপড়সহ বিভিন্ন পণ্যের। ত্রাণসহায়তাও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও পর্যাপ্ততার অভাব, তবু আনন্দের কমতি নেই। স্বজন-প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় মুখের হাসি হারিয়ে গেলেও ঈদের দিনে গাজাবাসীর মুখে তবু দেখা মিলছে মলিন হাসির।

আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন রাত অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেও মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছে।

বুধবার ঈদের দিন সকালে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার খবর না পাওয়া গেলেও ইসরাইলি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হামলাকারী ড্রোন উড়তে দেখা গেছে।

তবু ফিলিস্তিনিরা আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করছে। চারপাশের ব্যাপক ধ্বংস, দুঃখ ও শোকের মধ্যেও একে অপরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। গতকাল রাতেও যখন ফিলিস্তিনিরা ঈদ আগমনের আনন্দের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বেশ কয়েকটি আবাসিক বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

ভাঙাচোরা ঘর, রিক্ত হৃদয় আর শূন্য ভাড়ার নিয়েও ঈদ উদ্‌যাপনে প্রস্তুত তারা। ঈদকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন যেন ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পী মুসআব আল গামরি। বর্তমানে রাফাহে অবস্থান করা এই তরুণ সংগীতশিল্পী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখানকার শিশুদের ঈদ আনন্দ খানিকটা ফিরিয়ে দিতে।

আলজাজিরাকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গান ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা তাদের (শিশুদের) হাসি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ঈদ এমন একটা দিন, যেটাকে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।’

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102