May 17, 2024, 9:56 am
ব্রেকিং নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন, বাইডেন কেন চুপ?

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Thursday, May 2, 2024
  • 26 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:
দিন দিন আরও জোরালো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-শিক্ষকরা একযোগে অংশ নিচ্ছেন প্রতিবাদে। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড, পতাকা, মাইক নিয়ে জড়ো হচ্ছেন সবাই। নিজ নিজ ক্যাম্পসে তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন তারা। হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া, ইয়েল, ইউসিসহ একাধিক স্থানে দেখা যাচ্ছে গণআন্দোলনের জোয়ার। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ধরপাকড়ে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক ছাত্র-শিক্ষক। দাবানলের মতো এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে একাধিক স্থানে। তবে দেশজুড়ে এমন অস্থির পরিস্থিতিতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজ দেশের এমন সময়ে বাইডেন কেন চুপ? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে জটিলতা এড়াতেই এমনটা করছেন তিনি। এপি, আলজাজিরা, অ্যাক্সিওস।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটিতে চলমান ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে তরুণ ভোটাররাই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। ফলে নির্বাচনের ঠিক আগে সমালোচনা এড়াতেই দেশজুড়ে চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও চুপ রয়েছেন বাইডেন। পাশাপাশি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্পকে নিয়েও আলোচনা বেশি। মূলত ভোটাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এড়াতেই বাইডেন চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহে মিডিয়ার সামনে বাইডেন এ বিষয়ে একবার মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইহুদিবিরোধী এই বিক্ষোভের নিন্দা জানাই। যারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কী ঘটছে তা বুঝতে পারছেন না আমি তাদের নিন্দা জানাই।’

দেশটির এমন পরিস্থিতিতে বাইডেনের এমন নিশ্চুপ অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পও। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বড় ধরনের আন্দোলন চলছে কিন্তু তিনি এ নিয়ে কথা বলছেন না।’ এরই মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিতর্কিত বিল পাশ হয়েছে কংগ্রেসের নিন্মকক্ষের আসনে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই বিল পাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসরাইলের বিরোধিতা করলেও তা ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে গণ্য হবে।

বুধবার প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাশের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩২০ জন সদস্য। আর বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৯১ জন। সিনেটে পাশ হওয়ার পর বিলটি যদি আইনে পরিণত হয়, তবে এর মধ্য দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হলোকস্ট রিমেমব্র্যান্স অ্যালায়েন্সের (আইএইচআরএ) দেওয়া ইহুদিবিদ্বেষের সংজ্ঞাকে বিধিবদ্ধ করা হবে। আইএইচআরএর সংজ্ঞাকে আইনে যুক্ত করা হলে ইহুদিবিদ্বেষের চর্চা হওয়ার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেফতারের আশঙ্কায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরাইলের কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা বা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে গাজায় হামলা আরও জোরদার হবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার একজন মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে যে সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তাদের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা একটি ভুল হবে।

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা নিঃশব্দে আইসিসিকে এটি না করার জন্য উৎসাহিত করছি। এটি সবকিছু শেষ করে দেবে। ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে।’ আবার চলমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন করায় বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। ইরান তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে ইসরাইল। এই যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন করায় কিছ– ব্রিটিশ ও মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন ও মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সাবেক কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারসহ সাতজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

এদিকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি অব স্টেট গ্রান্ট শাপস, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহুল ও লোহিত সাগরে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভিকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102