স্টাফ রিপোর্টার,খুলনা:
দৌলতপুর ডিসি রোডের ইস্পাহানী প্রেস হাউজ এলাকায় মোঃ ইকবাল হোসেন নামের ইজি বাইক চালককে অপহরণ করে গ্যারেজে শিকল দিয়ে আটকে অমানবিক নির্যাতন ঘটনা ঘটেছে ।পুলিশ ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর ডিসি রোডের ইস্পাহানী কলোনির সামনে ১৭ সেপ্টমবার রবিবার রাতে ইজি বাইক চালক মোঃ ইকবাল হোসেন টিপু (৩৯)কে ইজি বাইকের মালিক কামাল হাওলাদার (৩৫)পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রবিবার রাতে ধরে নিয়ে তার গাড়ীর গ্যারেজে লোহার শিকল দিয়ে বাসের খুটির সাথে বেঁধে বেধড়ক মারপিট ও অমানবিক নির্যাতন করে । ১৮ তারিখ সকাল দশটায় এলাকাবাসী ঘটনাটি দেখে দৌলতপুর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জানান, দৌলতপুর হেলালের কলোনির মৃত্যু কেয়ামত আলী হাওলাদার এর ছেলে কামাল হাওলাদার( ৩৫)তাহার একটি ইজিবাইক ভুক্তভোগী টিপু ভাড়ায় চালাতেন।এক বছর যাবত গাড়িটি চালানোর পরে তার ইজিবাইক চালাবে না বলে গাড়িটি তার নিকট বুঝাইয়া দেয়। আসামি কামাল হাওলাদার আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি উক্ত টাকা কিস্তিতে দেয়ার জন্য বলিলে রাজি না হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসামি অত্যাচারের কারণে এক পর্যায় বাধ্য হইয়া সাড়ে ৪ হাজার টাকা তাকে প্রদান করা হয়। এই সূত্র ধরে ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় দৌলতপুর থানাধীন দৌলতপুর রেলস্টেশনে সামনে তার (কামাল) সাথে আমার দেখা হইলে সে আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে ডিসি রোডে অবস্থিত ইস্পাহানী প্রেস হাউজ পাট কোম্পানির সামনে অবস্থিত মোঃ কামাল হাওলাদারের ইজিবাইকের গ্যারেজের ভিতরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার কথা বলে।পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। এবিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্স কাজী কামাল হোসেন বলেন, অন্যায় করে কেউ পার পাবে না, সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে ছেলেটিকে। এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাৎক্ষনিক আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ ,অন্যায় ভাবে আটক ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের জন্য ৩৬৫ /৫০৬ পেন্যাাল কোড মামলা রজু করা হয়েছে।মামলা নং -১৩, তারিখ-১৮.০৯.২৩।