অনলাইন ডেস্ক:
মোটরসাইকেল চালকদের সুরক্ষার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হেলমেট। হেলমেট কেনার সময় এর সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। প্রশ্ন থেকেই যায় ভালো হেলমেট চেনার উপায় কী? হেলমেট কেনার সময় কী কী বিষয় দেখবেন? আজকের টিপসে তারই বিস্তারিত লিখেছেন-এমরান হোসেন মুহিন
হেলমেট ব্যবহারে দুর্ঘটনায় আমাদের অনেকটাই নিরাপদ রাখতে পারে। এ ছাড়া হেলমেটের কাচটা নামিয়ে পরলে ধুলোবালি সরাসরি চোখে-নাকে ঢুকতে পারে না। ৯৯ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালক বা বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট থাকে না। হেলমেট থাকলেও লুজ ফিট এবং দুর্বল মান হওয়ার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। তাই হেলমেট কেনার সময় তার সেফটি, মেটিরিয়াল কোয়ালিটি সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
যে ধরনের হেলমেট কিনবেন : কার্বন এবং কেভলার মিশ্রণের হেলমেট কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এ হেলমেটগুলো ওজনে হালকা হয় এবং ঘাড় ও মাংসপেশি সুরক্ষিত রাখে।
বায়ু চলাচল : বাইক চালানোর সময় হেলমেটের ভেতরে বায়ু চলাচল করাটা জরুরি। এজন্য হেলমেটের ছিদ্রগুলো দ্বারা মাথার ওপর বায়ু চলাচল করে থাকে। যার কারণে বাইকারের মাথা ঠান্ডা রাখে এবং বাইক চালানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক একটি অনুভূতি দিয়ে থাকে। হেলমেটে যত বেশি ছিদ্র থাকবে হেলমেট তত বেশিই হালকা হবে।
কত দামি হেলমেট কিনবেন : বর্তমানে বাজারে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা দামি হেলমেটও পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে আপনার বাছাই করা হেলমেটটি আন্তর্জাতিক মাপকাঠি মানছে কিনা তা যাচাই করুন।
আইএসও লোগো : হেলমেটে আইএসও লোগো রয়েছে কিনা যাচাই করুন, কারণ এই ধরনের হেলমেটগুলো নির্দিষ্টি প্রটোকল মেনে তৈরি করা হয়, বর্তমানে অধিকাংশ হেলমেট ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি হয়। তবে কেউ যদি বেশি সুরক্ষা চান এবং একটু বেশি টাকা খরচ করতে রাজি থাকেন তাহলে কার্বন-কেভলার মিশ্রিত মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি হেলমেট কিনতে পারেন।
ডট সার্টিফায়েড হেলমেট কিনুন : হেলমেট কেনার সময় হেলমেটটি ডট সার্টিফায়েড কি না তা দেখে কিনুন। ডট সার্টিফায়েড হেলমেটের সুরক্ষায় ব্যবস্থা ভালো থাকে।