April 27, 2024, 3:34 pm
ব্রেকিং নিউজ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তরমুজের বাম্পার ফলন

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Sunday, March 5, 2023
  • 75 দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপায় তরমুজের বাম্পার ফলনে সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা। বিগত বছরের মতো এবার ভালো ফলনের কারণে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা করছেন তরমুজ চাষিরা। চাষিদের কেউ আবার হাইব্রিড জাতীয় বিভিন্ন রঙের ও জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এসব তরমুজের কোনোটার ভেতর লাল, কোনোটা হলুদ বা কমলা রঙের। স্বাদও মিষ্টি।

পৌর শহরসহ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, পানপট্টি, রতনদি তালতলী, ডাকুয়া, চিকনিকান্দি, আমখোলা, গোলখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্রই তরমুজ খেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। প্রায় সবাই তরমুজ কাটা আর মহাজনের হাতে তুলে দেওয়াসহ খেত পরিচর্যায় কীটনাশক ও সেচ দিতে ব্যস্ত। এসব কিছুর মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এবং মহাজনরা তরমুজের গ্রামগুলোতে এসেছেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, গলাচিপা উপজেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ তরমুজের ফলন হয়েছে। গলাচিপায় ইতোমধ্যে নানা প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল (উফশী) তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। ঢাকা-বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন চালান হচ্ছে হাজার হাজার তরমুজ। শত শত ট্রাকে করে প্রতিদিন তরমুজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। আবার সারিবদ্ধভাবে অনেক ট্রাক তরমুজ লোড করার অপেক্ষায় আছে। এবার এখন পর্যন্ত বাজার বেশ চড়া। চাষিরাও লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে।

গলাচিপা পৌর শহরের প্রেম পোল নামক স্থানের অভিজ্ঞ তরমুজ চাষি চুন্নু মিয়া বলেন, ‘এ বছরও আমি প্রচুর ফলন পেয়েছি। আমার প্রায় ৫ গুণ লাভ হবে। আমি ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে এখন ২০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব।’

গলাচিপা সদর ইউনিয়নের তরমুজ চাষি মো. শফি বলেন, ‘আমরা ৫ জনে মিলে ওয়াপদার ঢালে প্রায় ২০ কানি (৫০ একর) জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এতে আমরা প্রায় ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পাব বলে আশা করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, ‘এবার উপজেলায় তরমুজ উৎপাদন পাঁচ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাব অনুযায়ী, এবার গলাচিপা উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি।’

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102