May 8, 2024, 11:56 am
ব্রেকিং নিউজ

ল্যাবের মাংস শিগগির টেবিলে আসছে যুক্তরাষ্ট্রে

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Wednesday, January 25, 2023
  • 74 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:
পশু-পাখি হত্যা করে মানুষকে আমিষের ঘাটতি মেটাতে হয়। এটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক আছে। প্রযুক্তি আমাদের পশু হত্যার গ্লানি থেকে সম্ভবত রেহাই দিতে যাচ্ছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রেস্তোরাঁয় ল্যাবে তৈরি মাংস পরিবেশন করা হবে। কয়েকটি রেস্তোরাঁ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ছাড়পত্রও পেয়েছে। রেস্তোরাঁগুলো বিখ্যাত পাচক ফ্রান্সিস মালম্যান এবং জোসে আন্দ্রেসের সঙ্গে কথা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। ‍তাদের রেস্তোরাঁয় ল্যাবে উৎপাদিত প্রথম মাংস রান্না করবেন।
ল্যাবে গরু ও মুরগির মাংস উৎপাদন করে এমন পাঁচটি কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেছে রয়টার্স। তাদের তথ্যমতে, প্রাথমিকভাবে কিছু রেস্তোরাঁয় ল্যাবে তৈরি মাংস সরবরাহের প্রায় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। তবে, ব্যাপক হারে তা সুপারমার্কেটে আসতে আরও সময় লাগবে।

ব্যাপক হারে বাজারে আনার জন্য কোম্পানিগুলোর ওপর নানান চাপ রয়েছে। প্রথমত বিপুল পরিমাণে তা উৎপাদন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ল্যাবের মাংস নিয়ে কোম্পানিগুলোকে মানুষের ভুল ধারণা ভাঙতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ইউপিএসআইডিই ফুডস ল্যাবে মাংস উৎপাদন করে। গত নভেম্বরে কোম্পানিটির মুরগির মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

সম্প্রতি রয়টার্সের প্রতিবেদকরা ইউপিএসআইডিইর কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তখন তাদের জন্য ল্যাবে তৈরি মুরগির মাংস রান্না করা হয়। এ মাংসের স্বাদ সাধারণ মুরগির মতোই। তবে সাধারণ মুরগির মাংসের চেয়ে কিছুটা পুরু এবং কাঁচা অবস্থায় রং কিছুটা কষা।

২০২৮ সালের মধ্যে নিজেদের মাংস সুপারমার্কেটে আনার ব্যাপারে আত্মবিশ্বসী ইউপিএসআইডিই। তবে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুর ল্যাবে উৎপাদিত মাংস ইতোমধ্যে বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আরও যেসব কোম্পানি ল্যাবে মাংস তৈরি করে তাদের মধ্যে গুড মিট অন্যতম। তারাও নিজেদের পণ্য বাজারজাত করার জন্য সম্প্রতি এফডিএর কাছে আবেদন করেছে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডভিত্তিক মোসা মিট ও ইসরায়েলভিত্তিক বিলিভার মিটসও এফডিএর কাছে একই ধরনের আবেদন করেছে।

ল্যাবে মাংস উৎপাদন প্রক্রিয়া

ল্যাবে মাংস উৎপাদন বা মাংস চাষ করার জন্য নির্দিষ্ট প্রাণীর কোষের কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তা বিশাল বিশাল ইস্পাতের পাত্রে রাখা হয়, যা বায়োরিঅ্যাক্টর নামে পরিচিত। এরপর ধাপে ধাপে ওই কোষ থেকে অবিকল মাংস উৎপাদন করা হয়।

এ চাষ প্রযুক্তিনির্ভর। ব্যয়ও বেশ ভালো। তবে, প্রতিকেজি মাংস উৎপাদন করতে কেমন অর্থ ব্যয় হয়, রয়টার্সের প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।

সূত্র : রয়টার্স।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102