May 4, 2024, 4:44 pm
ব্রেকিং নিউজ

ঘনকুয়াশা-কনকনে শীতে বোরো বীজতলা বাঁচাতে মরিয়া কৃষকরা

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Friday, January 5, 2024
  • 48 দেখা হয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা ঘনকুয়াশা ও কনকনে শীতে বীজতলার চারা বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি ও চারা পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু টানা কয়েকদিনের ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বীজতলা বাঁচাতে বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে ভয়ের আশংকা নেই বলে কৃষি বিভাগ জানায়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘনকুয়াশার সাথে শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাঠে দেখা যায়, বিকালের পর থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু হয়। রাতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। সকাল থেকে শুরু করে সূর্যের দেখা পাওয়া পর্যন্ত বোরো বীজতলায় কৃষকদের পরিচর্যা করতে দেখা যায়। কেউ কেউ বোরো বীজতলা বাঁচাতে চারার উপরে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন, আবার কেউ চারার উপরে জমে থাকা শিশিরগুলো বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন, যাতে চারাগুলো ভালো থাকে। এমন পরিস্থিতে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন এবং ভয়ের আশংকা নেই বলে কৃষি বিভাগ জানায়।

বিরল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, কৃষি অফিস থেকে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারাগুলো ভালো রয়েছে। আর ঘন কুয়াশায় ভয়ের কারণ নাই, যেহেতু দিনের বেলা সূর্যের আলো পাচ্ছে তাই। এবার বিরল উপজেলায় উফসী ৬৪৩ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা রয়েছে।

বিরলের ঢেলপির গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, কয়েকদিন থেকে ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বীজতলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি। বীজতলা বাঁচাতে চারার ওপর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও বীজতলার পানি প্রতিদিন বদল করে দিচ্ছি।

বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বিরল উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নের কৃষকরা এখন বোরো বীজতলার চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে কয়েক দিন থেকে যে ঘনকুয়াশা হচ্ছে এর ফলে বোরো বীজতলার চারা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত প্রত্যকটি বোরো বীজতলার চারা ভালো আছে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102