May 2, 2024, 12:16 am
ব্রেকিং নিউজ

যে কারণে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নিশাত

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Sunday, December 25, 2022
  • 62 দেখা হয়েছে

বগুড়া প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আপেল মার্কা) নাহিদুজ্জামান নিশাত। তাই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত ১২ অক্টোবর এ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন।

রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাত।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত ১২ অক্টোবর তারা তা করতে পারেনি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোর-জবরদস্তি, হুমকি-ধমকি ও মারপিট করেছে। সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে নিজেরাই ভোট দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমার (নিশাত) ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের ওপর আক্রমণসহ নানা অপকর্মের সাক্ষী হয়েছেন সাঘাটা-ফুলছড়ির ভোটাররা। চিহ্নিত ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা আবারো তফসিল ঘোষণা করে প্রহসন করতে চাইছে। তাই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া আমি আমার জামানতের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার সাঘাটার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল, পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণার পর ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনের দিন ধার্য হয়। ভোট চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

পরবর্তীতে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এসব অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনকে প্রতিবেদন দেয়। পরে অবশিষ্ট ৯৪ কেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কিনা তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি। গত ১৪ নভেম্বর ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

তদন্তে ১২৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও পাঁচ কেন্দ্রের পাঁচজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তদন্ত শেষে গত ৬ নভেম্বর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102