May 21, 2024, 3:41 pm
ব্রেকিং নিউজ

সুনামগঞ্জে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Tuesday, April 30, 2024
  • 54 দেখা হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ধর্ষণের পর এক কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। নিহিত কলেজ ছাত্রীর নাম তমা আক্তার (১৮)। সে উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে এবং দোয়ারাবাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনির ছাত্রী। এঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রেমিক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক প্রেমিকের নাম লিটন আহমদ (২০)। তিনি ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে নিহত কলেজ ছাত্রীর পিতা ফরিদ আহমদ বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দুপুর ২টায় দোয়ারাবাজার থানা কতৃক ৮ ঘন্টার মধ্যে ক্লু-লেস ধর্ষণ সহ খুনিকে গ্রেপ্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাজন কুমার দাস এবং জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

প্রেস ব্রিফিং ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ ছিলনা নিহত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে। এসময় তার মা-বাবা ছোট ভাই সহ কেউ বাড়ীতে ছিলেন না। এ সুযোগে সাবেক প্রেমিক লিটন আহমদ বাড়ীতে ঢুকে তাকে একা পেয়ে জোর পূর্বক কলেজ ছাত্রী তমা আক্তারকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে হত্যাকান্ডটি আড়াল করতে মৃতদেহের গলায় ওড়না পিছিয়ে বসত এবং রান্না ঘরের চৌকাঠে ঝুলন্ত করে হাটু ভাজ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় প্রেমিক লিটন আহমদ। রাত ৯ টার দিকে কলেজ ছাত্রীর ছোট ভাই বাড়ীতে এসে ভিতর থেকে দরজা লাগানো দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে টিনের বেড়া’র ছিদ্র দিয়ে তার বোনকে খাটের সঙ্গে রশ্মি দিয়ে ঝুলানো অবস্হায় দেখতে পান। একপর্য়ায়ে থানায় খবর দিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত কলেজ ছাত্রী তমা আক্তারের চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হোসেন আহমদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তার ভাতিজিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হত্যা করেছে বখাটে লিটন আহমদ।

সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ বলেন, কলেজ ছাত্রী তমার নাকে-মুখে রক্ত ছিল। পড়নের পায়জামা খোলা ছিল। মরদেহ খাটের খুঁটিতে রশি দিয়ে হাটু ভাজ অবস্হায় ঝুলানো ছিল। এভাবে কেউ ফাঁস নিতে পারে না। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে লিটন আহমদ স্বীকার করেছে কলেজ ছাত্রী তমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। গ্রেপ্তার কৃত লিটন বলেছে, তমা আক্তারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রস্তাব দিলে তমার পরিবার তার কাছে বিয়ে দেয়নি। পরে সে অন্যত্র বিয়ে করে এবং তার দুই মাসের একটা শিশু সন্তান রয়েছে। তমা আক্তারের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সোমবার সন্ধ্যার পর তমার ঘরে গেলে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে তাকে প্রথমে জুতা দিয়ে বাড়ী দেয় তমা আক্তার। পরে সে উত্তেজিত হয়ে তমা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রেমিক লিটন।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102