হায়দার আলী (স্টাফ রিপোর্টার) চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জামালখানস্থ সিকদার হোটেলের পিছনে নালা থেকে নিখোঁজের ৩ দিন পরে বস্তাবন্দি এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত শিশুটি হলেন মারজান হক বর্ষা (৭)। নিহত বর্ষা নগরীর কুসুম কুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বর্ষার বাবার চাকরির জন্য জামালখান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বলে জানা যায়।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নগরীর জামালখানস্থ সিকদার হোটেলের পিছনের নালা থেকে নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহটি দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নালা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় বস্তার ফাঁক দিয়ে শিশুটির চুল ও মুখ দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)র ক্রাইম সিন ইউনিট তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। ক্রাইম সিন ইউনিট উদ্ধাকৃত মরদেহের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে গত সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে চিপস কেনার জন্য দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়ে বর্ষা বের হয়ে বাসায় ফিরে না আসায় তাঁর পরিবার খোজাখুজি করতে থাকে। মারজান হক বর্ষার কোনো খোঁজ পাওয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এরপর কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ বর্ষার বোন নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিহত শিশুর বোন সালেহা আক্তার রুবি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার সাত বছর বয়সি ছোট বোন বর্ষা তিন দিন পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। তাের কোনো শত্রু নেই কী কারনে এমন নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটালো তা বুঝতে পারছি না। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।”

এ ঘটনায় নগর পুলিশ (দক্ষিণ) এর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নোবেল চাকমা গণমাধ্যমে জানান, “এ ঘটনার তদন্ত চলছে। সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।”