লতিফুর রহমান রাজু.সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার চলমান হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছি। অনেক জায়গাতেই মাটি ভরাট কাজ চলছে। তবে কমপ্কেশন ঠিক মত হচ্ছেনা, স্লোব ও ঠিক নেই। মনিটরিং জোরদার করে এসব কাজ সম্পন্ন করার ও আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। জেলা প্রশাসক বলেন বিভিন্ন ক্লোজার গুলো পরিদর্শন করার জন্য আলাদা ভাবে এডিসি দের সমন্বয়ে বিশেষ কমিটি করে দিয়েছি। আগে সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে পরে সমাধান করতে হবে। যেগুলোর কাজ বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আগে করার ও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন হাওরের জীব বৈচিত্র্য বজায় রেখেই বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ভবিষ্যতে কিভাবে স্হায়ী সমাধান করা যায় সেটি চিন্তা করতে হবে এখনই। পিআইসির দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করলে কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে তাই বিল পরিশোধ করার ও আহবান জানান।
১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ডিডিএলজি দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ১ মোঃ মামুন হাওলাদার. নির্বাহী প্রকৌশলী ২ এমদাদুল হক. বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান. নুরুল মোমেন. সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তফা আজাদ. ব্রাক জেলা সমন্বয়ক একে আজাদ. গৌরি ভট্টাচার্য. কাশ্মীর রেজা এবং সকল ইউএনও ও এসও গণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ৭৩৪ ,টি পিআইসির মাধ্যমে ১৩০ ,কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান আছে। এ পর্যন্ত ৬৩.৫০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে বলে সভায় দাবী করা হয়।