দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে নতুন জিরার আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৪০০ টাকা। দুই মাস আগে ১১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই জিরা এখন ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
সোমবার হাকিমপুরের হিলি মসলা বাজারে দেখা যায়, গত বছরে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। ডলার সংকট ও ভারতে জিরার ফলন কম এবং আমদানি কমে যাওয়ার অজুহাতে দাম বাড়তে থাকে। গত দুই মাস আগে ১১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি বছরে ভারতে নতুন জিরার ফলন ভালো হয়েছে সেই সাথে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদামি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা।
হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা উঠায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দাম কমছে। এখন ভারত থেকে আমদানিকৃত ভালো মানের কাকা জিরা ৭২০, বাবা জিরা ৭২০, মধু জিরা ৭২০, অমরিত জিরা ৭২০ টাকা, সোনা জিরা ৭৩০ টাকা ও ডিবি গোল্ড জিরা ৮৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা তাজ হোসেন বলেন, দুই মাস আগেও জিরার আকাশছোঁয়া দাম ছিল। সোমবার মসলা কিনতে এসে শুনলাম কেজি প্রতি ৪০০ টাকা কমেছে। তাই এক কেজি জিরা নিলাম ৭২০ টাকায়।
বগুড়া থেকে আসা জিরা ক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, স্বপ্নপূরীতে ঘুরতে এসেছিলাম। হিলি স্থলবন্দর ঘুরেও দেখলাম। হিলিতে কম দামে মসলা পাওয়া যায়। বগুড়াতে প্রায় তিন মাস আগে ১২শত টাকা কেজি দরে জিরা কিনেছি। হিলিতে এসে এক কেজি জিরা নিলাম ৭২০ টাকা দিয়ে।
হিলি বাজারে বিসমিল্লাহ্ মসলা ঘর এর ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন বলেন, গত বছরে ভারতে জিরার ফলন কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে আমদানিও কমে যায়। সেকারণে জিরার দাম বাড়তে বাড়তে ১১৫০ টাকা কেজি দরে উঠে। বর্তমান ভারতে নতুন জিরা উঠায় আমদানি বেড়েছে। তাই দামও কেজি প্রতি কমেছে ৪০০ টাকা। আমরা ৭১০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আশা করছি আগামীতে দাম আরও কমে আসবে। তবে সাদা এলাচ ও কালো ফলের দাম একটু বেশি। তবে অন্যান্য মসলার দাম স্বাভাবিক রয়েছে।