কুমিল্লা প্রতিনিধি:কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি ঘাটলা ভেঙে পড়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলা ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে গিয়ে এমনটা ঘটেছে। তবে ঘাটলাটি পুনরায় ঢালাই করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।
সরেজমিন জানা গেছে, আইপিসিপি প্রজেক্টের আওতায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সিঙ্গুলা ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার পুকুরে একটি ঘাটলা নির্মাণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। মেসার্স রাসেল আহম্মেদ মজুমদার এন্টারপ্রাইজ গত মাসে কাজটি শুরু করে।
সোমবার (৩০জুন) ঘাটলার স্লাব এবং সিঁড়ির ধাপ ঢালই করার সময় সেন্টারিং সরে মাঝখানে থেকে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘাটলাটি নির্মাণ করতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। কাজের শুরু থেকেই তদারকির অনেক অভাব ছিল।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা শাকের উল্লাহ বলেন, কাজটি শুরু করার দিন ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোক আসছিল। এরপর আর কেউ আসেনি। ঠিকাদার বা ইঞ্জিনিয়ার কেউ আমাদের কিছু জানায় না বা এ কাজের কোনো কাগজপত্রও আমাদের দেয়নি। আমরা জানি না কত টাকা ব্যয়ে কাজটি হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাসেল আহমেদ মজুমদারের স্বত্বাধিকারী রাসেল আহমেদ বলেন, ঈদের আগে সাটারিং করা ছিল, মিস্ত্রি চেক না করে ঢালাই শুরু করলে ভেঙে পড়েছে। কাজটি পুনরায় করা হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন বলেন, কাজের তদারকি কর্মকর্তা ঘাটলার রড চেক দেওয়ার সময় ১৬ মিলির স্থলে কিছু সংখ্যক ১২ মিলি রড পায়। আমাকে জানালে ১২ রড খুলে স্পেসিফিকেশন মোতাবেক পুনরায় ১৬ মিলি রড বাইন্ডিং করে আমাকে জানাতে বলি এবং ডিজাইন অনুযায়ী সাটার করতে বলি। আজকে ঠিকাদার আমাকে না জানিয়ে ঢালাই শুরু করলে সেখানে সাটার ফেইল করে মর্মে অবগত হই।
পরবর্তীতে, পুনরায় ডিজাইন মোতাবেক সাটার করে স্পেসিফিকেশন মোতাবেক রড বাইন্ডিং সম্পন্ন করে আমাদের অবগত করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।