বেল্লাল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার:
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের সিআরবিসি এলাকার হাফিজা মেমোরিয়াল হসপিটাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, খালখুলা কালুপাড়া ভায়াট এলাকার সিদ্দিকের স্ত্রী লতা খাতুন (৩০) সিজার অপারেশন করেন হসপিটালের কর্তব্যরত ডাঃ শারমনি আক্তার স্বর্না ও এ্যনেস্থেশিয়া রাজিবুল ইসলাম ও হাসপাতালের নার্স শাহনাজ খাতুন। নবজাতকের ওজন কম হওয়ায় ও ১০ মাসের আগেই সিজার করার ফলে মা ও নবজাতকের সংকটাপন্ন অবস্থা হলে দ্রুত বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন হাফিজা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।
বগুড়া থেকে ফেরার পথে হাফিজা মেমোরিয়াল হাসপাতালে সামনে অ্যাম্বুলেন্স দার করিয়া রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিলে স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী ও ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন কে ভয়ভীতি ও আপোষ মিমাংসার কথা বলে সেখান থেকে সড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর থেকে সিআরবিসি এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, রোগী মারা গেলে তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে হাসপাতালের সামনে এলে তাদের উল্টো মামলার ভয়ভীতি ও আপোষ মিমাংসার কথা বলে হাসপাতালের সামনে থেকে বিদায় করে দেয়, চিকিৎসার নামে এই নিবন্ধন বিহীন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম চলছে।
কোন সমস্যা দেখা দিলে কিছু মাস্তান ও প্রসাশনের ভয় দেখিয়ে রোগীর স্বজনদের থামিয়ে দেওয়া হয়। মা ও নবজাতক মরার পরও হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছেন না কেউ।
রোগীর স্বজনের কাছে মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারতাম আত্মীয়তার কারনে কিছু করি নাই তার পরও যদি দাফন সম্পুর্ন করার সময় তারা আসতো তাও মনে বুঝ দিতে পারতাম।
এ বিষয়ে ডাঃ শারমিন আক্তার স্বর্নার সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে হাফিজা মেমোরিয়াল হসপিটাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল আমিন বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে