ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের যাওয়ার কথা শুনেই পালিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা চিনিকলটির অফিস কক্ষে যান।এ সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন না ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে স্থাপিত দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকল। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকে লোকসানের বোঝা নিয়েই চলছে চিনিকলটি।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবৈধ নিয়োগের ১৩৭ জন শ্রমিকের কাজে নেওয়া ও ২৪ জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে পদোন্নতির নামে টাকা আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হলে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চিনিকলের অফিসে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা; কিন্তু সেখানে ছাত্ররা যাওয়ার আগেই চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অফিস থেকে বেরিয়ে যান।
এরপর চিনিকলটির অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক হিরন্ময় বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মোবাইল ফোনে ছাত্ররা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অফিসে আসার অনুরোধ জানালে তিনি আসতে অস্বীকৃতি জানান। প্রায় ১ ঘণ্টা অফিসে অবস্থান করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঝিনাইদহের যুগ্ম আহবায়ক হুসাইন আহমেদ জানান, দক্ষিণবঙ্গের একটি বড় প্রতিষ্ঠান আমাদের এই সুগার মিল। বছরের পর বছর এই চিনিকলে শুধু লোকসানই দেখানো হয়। একটা অবৈধ নিয়োগ নিয়ে চিনিকলে পক্ষে-বিপক্ষে দ্বন্দ্ব চলছে। ৫ আগস্টের পর সারা দেশে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে; কিন্তু এই চিনিকলে সংস্কারের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। মিলের এমডি আগেও যেভাবে কাজ করেছেন এখনো সেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। সুগার মিলের এমডি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল এই মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, মিলটি যাতে ভালোভাবে চলে এসব বিষয়ে কথা বলতে এমডির সঙ্গে কথা বলতে আমরা তার অফিসে আসি; কিন্তু আমাদের আসার খবর পেয়ে এমডি পালান। তিনি আশেপাশেই আছেন কিন্তু এখানে আসছেন না। ফোনেও কথা বলেছি কিন্তু এখানে আসতে কোনোভাবেই রাজি না।
এ ব্যাপারে জানতে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।