চট্টগ্রাম প্রতনিধি:
চট্টগ্রামে ঋণের বকেয়া পাওনার দাবিতে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১২টি শাখার শতাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করছেন। ব্যাংকটি চট্টগ্রামের বিভিন্ন শাখা থেকে এস আলম গ্রুপ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকালে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকাই এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে। বিনিয়োগ বাবদ এস আলম গ্রুপের কাছে চট্টগ্রামে ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখার পাওনা রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু বিনিয়োগ গ্রহণ করার পর এস আলম গ্রুপ সেই টাকা পরিশোধ না করায় আমাদের ব্যাংকে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের টাকাগুলো জনগণের আমানত। এমন অবস্থায় অনেক গ্রাহক ব্যাংকটির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অনেকেই তাদের জামানত তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দেয়ার পরও তাদের কাছ থেকে আদায় করতে না পেরে সামাজিক চাপ সৃষ্টির জন্য আমরা এ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছি।
কর্মকর্তারা বলেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক এস আলম গ্রুপের সিংহভাগ মালিকানায় তাদের নিয়ন্ত্রিত ছিল; কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার এসে ব্যাংকটিকে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছে। তখনকার পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে এস আলমের নির্দেশ অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হয়েছে।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর ১৭ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে চট্টগ্রামের দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি চকবাজার শাখার কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে খেলাপি ঋণ আদায়ে বিএসএম গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তারা। একই সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তারা সাদ মুসা গ্রুপের কার্যালয়ের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।