আলমগীর হোসেন বাচ্চু,কুমিল্লা:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন ভাতিজাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডাকাতির নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৩৮)।
রোববার সকালে বাড়ির পাশে বেগুনক্ষেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রফিকুল উপজেলার আবিদপুর উত্তরপাড়া পাটোয়ারীবাড়ির হাবু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে তাঁর চাচা মফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পরে সোমবার কুমিল্লা আদালতে হত্যার ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চাচা মফিজুল ইসলাম।
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, চাচা মফিজুল ইসলামই রফিকুলের মৃত্যু নিয়ে ডাকাতির ঘটনা প্রচার করেন। সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাকে ফাঁসাতেই ডাকাতির নাটক সাজানো হয়। মফিজুল বলেছেন, ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে রফিকুলকে হত্যার পর লাশ বেগুনক্ষেতে ফেলে আসা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম জানান, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমের সাথে মফিজুল ইসলামের টাকা পয়সা নিয়ে লেনদেন ছিল। প্রতিপক্ষ আবুল খায়েরকে ফাঁসানোর জন্য মফিজুল ইসলাম তার ভাতিজা রফিকুল কে হত্যা করে নাটক সাজায়। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে চাচা মফিজুল ইসলামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার পর বিচারক মফিজুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।