আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
৫ বছর পর আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তেল আবিবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানকে ‘চরম পরিণতির ভোগের’ হুঁশিয়ার দিয়ে আসছে ইসরাইল। এরমধ্যে জুমার নামাজে খুতবা প্রদান করতে আসছেন খামেনি।
এই খুতবায় ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন তিনি। খামেনির খুতবাকে ইরানের রাজনীতিতে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ প্রায় পাঁচ বছর পর সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার এটিই প্রথম জুমার খুতবা। এই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আরো জটিল রুপ নিয়েছে।
খামেনি শেষবার জুমার নামাজের নেতৃত্ব দিয়েছিলে ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানে অভিজাত বিপ্লবী বাহিনী কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর উত্তেজনাকর সময়ে খুতবা দেন তিনি। সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন খামেনি।
এবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই ‘বিরল’ খুতবা এমন এক সময়ে দিতে যাচ্ছেন, যখন গাজায় ইসরাইলি হামলার বছর পূর্ণ হতে মাত্র তিন দিন বাকি।
খামেনির সরকারির সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, তেহরানের কেন্দ্রে অবস্থিত ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে মুসল্লিদের ইমামতি করবেন তিনি।
জানা গেছে, জুমার নামাজের আগে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর স্মরণে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় নাসরুল্লাহসহ ইরানি কমান্ডার আব্বাস নিফোরুশান নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের ওপর ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
ইরানের হামলার প্রেক্ষিতে ইসরাইলের জবাব কেমন হতে পারে তা নিয়ে জাের জল্পনা চলছে। কারণ গত এপ্রিলে ইরানের হামলার চেয়ে এবারের ধরন একেবারে আলাদা। ওয়াশিংটনও বলেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করে তেহরানের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেওয়া হতে পারে।