গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর আশামনি (১২) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এলাকাবাসী ও পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পলাতক যুবক প্রতিবেশী মাসুদের বাবা রাজা মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইর ফকিরপাড়া এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাত আটার দিকে বাড়ির সামন থেকে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী।
নিহত আশামনি উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় ফকিরপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জনান, শুক্রবার দিবাগত রাত আটটার দিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং হলে আশামনি অন্যদের সাথে বাড়ির বাইরে বের হয়। কিছু সময় পরে তাকে দেখতে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড়ে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্বজন ও প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে বিকেলে ওই কিশোরীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.ফ.ম. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পর কিশোরীটিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে কিশোরীকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী রাজা মিয়ার পুত্র মাসুদকে (১৯) হত্যাকারী হিসেবে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করায় পুলিশ রাজা মিয়াকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা বলেন, অভিযুক্তের পিতাকে আটক ও মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।