অনলাইন ডেস্ক
মোহনগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামে ঘরে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাত করেছে বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল শিক্ষকের মীমাংসার চেষ্টায় থানায় মামলা হয় দুদিন পর। পরবর্তীতে আসামি ধরা পরে আরও দুদিন পর। এদিকে গলা এবং ঠোঁটে মারাত্মক জখম নিয়েও হামলাসহ নানা ভয়ে চিকিৎসা ছাড়াই হাসপাতাল থেকে চলে যায় ভুক্তভোগী।
অবশেষে জানাজানি হলে ধামাচাপা দেয়ার বিষয়টি ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ রবিবারের (২৩ জুন) ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ জুন) মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে অভিযুক্ত বখাটে উত্তম বিশ্বাসকে (২২) আটক করে। শুক্রবার জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আনা হয়। আটক উত্তম মোহনগঞ্জ উপজেলার সোয়াইর ইউনিয়নের ভাটিয়া গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় এবং ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও একই এলাকার প্রতিবেশী এক শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করাসহ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সেবক সরকার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলাল মিয়াসহ অন্যরা মীমাংসা করে দেন। এতে উত্তমের অত্যাচার আরও বেড়ে গেলে ওই জেলে পরিবারটি মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকায় পাড়ি জমায়।
ভুক্তভোগী জানায়, শিক্ষক যদি আগের বিচার করতো তাহলে আজ এমনটি হতো না। মেয়েটির মা জানায়, মেম্বার তাদেরকে চিকিৎসার কথা বলে উত্তমকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। পরে মোটা অংকের টাকায় মীমাংসা করতে বলে।
ইউপি সদস্য সেবক সরকার বলেন, আগের বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলাল মিয়াসহ অন্যরা মীমাংসা করেছে। এবারের ঘটনাটি দেখে তিনি আগে চিকিৎসা নিতে বলেছেন এই যা। প্রধান শিক্ষক দিলাল মিয়া বলেন, ওই ছাত্রীর চিকিৎসা করাবেন। টাকা দিয়েছেন। পরে তিনি দেখা করবেন।
ইএনও রেজওয়ানা কবির বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার পাশাপাশি মেয়েটির পরিবারের পাশে আছি। অরপাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য চেষ্টা রয়েছে যাতে পরবর্তীতে কোন মেয়ে ভয় পেয়ে লেখাপড়া থেকে দূরে সরে না যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ বলেন, আটক উত্তমের এমন আরও ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিলম্বের বিষয়ে বলেন, সমাজে একটি প্রথা আছে যে, একই গোষ্ঠীর বা সমগোত্রীয় হলে অনেক সময় আপোষের চেষ্টা করে বা পুলিশকে না জানিয়ে থাকে। এমনটি হলে আমরা অনুসন্ধান করবো। কারো গাফিলতি হলে ব্যবস্থা নেব।