May 3, 2024, 3:24 pm
ব্রেকিং নিউজ

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি বর্জন করলেও সুনামগঞ্জে স্বতন্ত্র অংশ নিচ্ছেন পদধারী নেতারা

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Monday, April 22, 2024
  • 25 দেখা হয়েছে

লতিফুর রহমান রাজু.সুনামগঞ্জ:

চলমান উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচন বয়কট করেছে। কিন্ত সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির পদধারী কিছু নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন। ইতিমধ্যেই অনেক উপজেলাতে বিএনপির বিভিন্ন পদে থাকা নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। অন্যান্য উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচন করার। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বললেন যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তাদের আজীবন দলের প্রাথমিক পদ সহ অন্যান্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হবে।

সুনামগঞ্জ জেলার ছয় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি’র পদধারী সাত নেতা।

গত রোববার মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে তারা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। উপজেলা গুলো হচ্ছে তাহিরপুর. জামালগঞ্জ. বিশ্বম্ভরপুর . ধর্মপাশা উপজেলা .দিরাই ও শাল্লা উপজেলা।

জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও বিএনপি নেতা মোহন বাচ্চু।

হারুনুর রশীদ বললেন, আমি বিগত দিনে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে অবহেলিত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি। বিএনপির ৯০ ভাগ কর্মী, সমর্থক ও ভোটারের সমর্থন আমি পাব। তারা সাহস দিচ্ছেন বলেই ভোটের মাঠে রয়েছি। জয়ী ও হব ইনশাল্লাহ।
বিএনপির আরেক নেতা মোহন বাচ্চু ও মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি। তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী দাবী করে বলেন দলীয় নেতা কর্মীদের সমর্থন নিয়েই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছি।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপি নেতা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম।
আবুল কাসেম বললেন, বিএনপি উপজেলা ভোটে যায় নি। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি সকলের সমর্থন চাই। দলকে বিতর্কিত করতে চাই না। যদি মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন তাহলে আমি অবশ্যই জয়ী হব।

ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে , উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল বললেন, বিএনপি উপজেলা ভোটে যায় নি। কিন্ত ভোট দিতে যাবে এবং দলের ভোটাররা ভোট দিতে গেলে আমাকেই ভোট দেবে আমি বিজয়ী হব।
এই চার উপজেলার বিএনপির নেতারা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করার সময় তাদের দলের অর্থাৎ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে থেকে সমর্থন যুগিয়েছেন।

দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া ইতিমধ্যেই মাঠে আছেন। শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গনেনদ্র রায় ও ভোটের মাঠে কোমর বেধেঁ নেমে পড়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যায়নি চলমান উপজেলা নির্বাচনে ও যাচ্ছে না। এটি দলীয় সিদ্ধান্ত।ণ। যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন , তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের প্রাথমিক সদস্য পদ সহ অন্যান্য পদ থেকেও আজীবন বহিষ্কার করা হবে। আমরা প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করব।
বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা এই চার উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন । স্হানীয়দের অভিমত কোন কোন উপজেলায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সাথে বিএনপি’ প্রার্থীর প্রতিদন্ধীতা হবে ।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102