October 6, 2024, 4:06 am
ব্রেকিং নিউজ

নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশী তরুণ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম Monday, April 1, 2024
  • 112 দেখা হয়েছে

নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে উইন রোজারিও নামের এক বাংলাদেশী খ্রীষ্টান তরুণ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে প্রবাসী বাঙালী খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ইনক। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘উইন উই ফেইল টু রেসপেস্ট ইউ’, আমরা শোকাহত প্ল্যাকার্ড হাতে উত্তেজিত জনতাকে মিছিল করতে দেখা যায়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ওজোনপার্ক ১০৩ স্ট্রিট, ১০১ এভিনিউয়ের বাসায় পরিবারের সদস্যদের সামনে উইনের উপর গুলি চালায় নিউইয়র্ক পুলিশ। গুরুতর আহতাবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে নিকটস্থ জ্যামাইকা হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উইন রোজারিওর জন্ম বাংলাদেশী খ্রীষ্টান পরিবারে। তার বাবা ফ্রান্সিসের সাথে ২০১৪ সালে গাজিপুর থেকে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলো উইন। উইনের স্বপ্ন ছিলো মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। ইন্টারভিউতেও টিকে গিয়েছিলো সে। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশের বুলেট কেড়ে নিলো এ স্বপ্নবাজ তরুণের তরতাজা প্রাণ।

পুলিশ অন্যায়ভাবে রোজারিওকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন উইনের মা ইভা কোস্টা (৪৯)। তিনি বলেন, আমার ছেলে পুলিশকে কাঁচি দিয়ে ধাওয়া করেনি। পুলিশের বডি ক্যামেরা পরীক্ষা করলেই তা স্পষ্ট হবে। উইন পুলিশের কাছে ধরা দিতে চায়নি। সে আমাকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছিল। আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, উইনের ছোট ভাই উৎস রোজারিও (১৭) তাদের জানিয়েছে, উইন মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। কদিন আগেও নাকি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন।

অপর দিকে উইনের মা ইভা বলেন, উইন মার্কিন সেনাবাহিনীতে ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন। ইন্টারভিউতে টিকে গেছেন। মানসিকভাবে সে সুস্থ না থাকলে ইন্টারভিউতে টিকে কীভাবে?

জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন লুথারেন চার্চের প্যাস্টর জেমস রয় জানান, মাঝেমধ্যেই মা-বাবার সাথে উইনকেও চার্চে দেখেছি। আমি তাকে শিশুকাল থেকেই দেখছি। মানসিকভাবে সামান্য অসুস্থ ছিলেন। ৬ মাস আগেও সে জ্যামাইকা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তারপর তাকে কখনও অস্থির হয়ে কোনও বাজে কাজে লিপ্ত হতে দেখিনি বা শুনিনি। তার এই অকাল মৃত্যুকে মেনে নেওয়া যায় না। আমি নিজেও তাকে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুরোধ জানিয়েছি। কারণ, তার শরীর-কাঠামো অত্যন্ত উপযোগী সেনাবাহিনীতে তড়তড় করে উপরে উঠার ক্ষেত্রে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102