অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘অপহরণের’ ভিডিও পোস্ট করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছেন ডেমোক্রেটের জো বাইডেন ও রিপাবলিকানের ট্রাম্প। যে ভিডিও পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যায়— একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে জো বাইডেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে আছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
সাত সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পিকআপের পেছনে বর্তমান প্রেসিডেন্টের একটি ছবি প্রিন্ট করে লাগানো হয়েছে। অর্থাৎ তাকে অপহরণ করা হয়েছে— এমনটিই বোঝানো হয়েছে ছবিতে। যদিও ছবিটি পুরোপুরি ড্ক্টরেট (সম্পাদিত)। পতাকা ও ডেকালসংবলিত দুটি ট্রাক ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে, যেখানে দ্বিতীয় ট্রাকের পেছনে ছিল বাইডেনের ছবি।
এ ঘটনায় ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা ট্রাম্পকে ‘দানব’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে ৭৭ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপশন লিখেছেন— ‘৩/২৮/২৪, লং আইল্যান্ড, নিউইয়র্ক।’
ভিডিও পোস্ট করা মাত্রই বাইডেনের সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। বাইডেনের প্রচারণার যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক মাইকেল টেইলর বলেন, শুক্রবার রাতে ট্রাম্পের পোস্ট করা ছবিটি তার বিরোধীদের শারীরিকভাবে ক্ষতি করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রতিনিয়তই রাজনৈতিক সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছেন। এখন সময় এসেছে যেন মানুষ তাকে বয়কট করার।
এদিকে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক বিবৃতিতে বলেন, ছবিটি একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে ছিল, পিকআপটি হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল। ডেমোক্র্যাটরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে শুধু ঘৃণ্য সহিংসতার ডাকই দেয়নি, তারা আসলে তার বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে ভিডিওতে বাইডেনের ছবির উপস্থিতি নিছকই কাকতালীয় ঘটনা তা মনে হচ্ছে না। কারণ ভিডিওর শেষের দিকে বাইডেনের সম্পাদিত ছবিটি জুম করে দেখানো হয়েছে।
এদিকে ছবিটি নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হাভার্ডের আইন বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স ট্রাইব এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘দানব’ এটা পোস্ট করেছে। ট্রাকের পেছনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাত-পা বাঁধা একটি ছবি। তিনি (ট্রাম্প) প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিচ্ছেন। এটি একটি অপরাধ। অন্য কেউ এটা করলে তাকে গ্রেফতার করা হতো। এখন কী করা হবে?
ওবামা প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমান সিএনএন জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জুলিয়েট কায়েম লিখেছেন— ‘ট্রাম্প সব কিছু ফেলে সহিংসতাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন।’