May 3, 2024, 2:39 pm
ব্রেকিং নিউজ

রাবির ভবনের ছাদ ধস নিয়ে ফের আলোচনায় রূপপুরের বালিশকাণ্ডের ঠিকাদার

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Thursday, February 1, 2024
  • 35 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন আবাসিক হলের ছাদ ধসে শ্রমিক আহতের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে রূপপুরের বালিশ কাণ্ডের আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। নির্মাণকাজ করার সময় শ্রমিকের জীবন বিপন্ন করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অস্বাভাবিক মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে আলোচনায় এসেছিল এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর প্রতিষ্ঠানটি এখন রাজশাহীতে ঘাঁটি গেড়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রুয়েট) কয়েকটি বড় বড় প্রকল্পের কাজ পেয়েছে বহুল বিতর্কিত এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কোনোকিছুর ধার না ধেরে প্রতিষ্ঠানটি নিম্নমানের কাজ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যে।

রাবির প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, ৫১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল এবং ২০ তলা বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছে মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন। হল নির্মাণের ব্যয় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর বিজ্ঞান ভবনের ব্যয় ১৭১ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে না পেরে ইতিমধ্যে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার শহীদ কামারুজ্জামান ভবনের সামনের অংশের তৃতীয় তলায় কাজ চলছিল। হঠাৎ শাটারিংসহ ছাদটি ধসে পড়ে। এতে পাঁচ শ্রমিক আহত হন। আগের দিন সোমবার এই ছাদের ঢালাই দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর অনুপস্থিতিতেই কাজ চলছিল সাইটে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, তিনি রাজশাহীর বাইরে গিয়েছিলেন বলে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন। তিনি ফেরার পর ঢালাই হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরও তার অনুপস্থিতিতে কাজ চলছিল।

ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাজ করে শ্রমিকের জীবন বিপন্ন করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরই একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি দেখে এসেছেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমি নিজে দেখতে যাব। তারপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের অপরাধ বিবেচনা করে মামলা পর্যন্ত করতে পারি।’

এদিকে ছাদ ধসে পড়ার পর মঙ্গলবার রাতে জরুরি সভায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে রাতে জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, ‘ছাদ ধসে পড়ার কারণ নির্ধারণ ও নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান আবাসিক হলের যেসব কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোর গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকারকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য দুইজন সদস্য হলেন-গণপূর্ত বিভাগ-১ রাজশাহীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রাবির প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইমরুল হাসান। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102