May 4, 2024, 7:49 am
ব্রেকিং নিউজ

ফরিদপুর শহরতলীর ডোমরাকান্দি গ্রামে চোখ জুড়াচ্ছে সূর্যমুখী

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Wednesday, January 31, 2024
  • 49 দেখা হয়েছে

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর শহরতলীর ডোমরাকান্দি গ্রামের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএডিসি) চোখ জুড়াচ্ছে হলুদ রঙের সূর্যমুখী ফুল। সবুজ পাতা আর হলুদ রঙের সূর্যমুখী ফুলের মুগ্ধতা দেখতে ছুটে আসছেন মানুষ। প্রতিদিন বাড়ছে ভিড়।

ফরিদপুর বিএডিসির ডাল ও তৈল বীজ খামারের উপসহকারী পরিচালক রাশেদ খান বলেন, প্রায় ১২ বছর ধরে বিএডিসির এ খামারে সূর্যমুখীর চাষ করা হচ্ছে। সূর্যমুখী চাষের আবাদ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিএডিসি। এ বছর তিন একর জমিতে রোপণ করা হয়েছে সূর্যমুখী। এখান থেকে প্রায় ৪০-৫০ মণ সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সী মানুষ ভিড় করছে এ ফুল বাগানে। সূর্যমুখীর এ বাগানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষ ছুটে আসছেন। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

শহরের বাসিন্দা আকবর বিশ্বাস রাজু বলেন, পরিবার নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের হলুদের আঙিনায় চোখ বুলাতে এসেছি। প্রতিবছরই আসা হয়। অন্যবারের মতো এবার দুর দরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এখানে ভিড় জমাচ্ছেন। আগতরা ফুলের সঙ্গে ছবি তোলা, ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করছেন।

শহরের গঙ্গাবন্দি এলাকার চাষি গিয়াস উদ্দিন জানান, সূর্যমুখীর চাষে হেক্টর প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিপরীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করা যায়। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ার কারণে এ ফুলের চাষ করেছি।

ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিতে হয়। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102