May 3, 2024, 8:02 pm
ব্রেকিং নিউজ

ডায়াবেটিস ঝুঁকি বাড়ছে।। সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Monday, November 13, 2023
  • 61 দেখা হয়েছে

সম্পাদকীয়
ক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় ডায়াবেটিক রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আরও ভয়ংকর। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে শনিবার বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির উদ্যোগে যুগান্তর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ডায়াবেটিস : আপনার ঝুঁকি ও করণীয় জানুন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য তুলে ধরেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বারডেমের পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠানসহ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, বিশ্বে পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের ৯০ শতাংশই ডায়াবেটিস-২ আক্রান্ত। এ রোগীদের অর্ধেকই আবার শনাক্তের বাইরে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শনাক্তকরণ ও দেরিতে চিকিৎসা গ্রহণের কারণে জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগটি নিয়ন্ত্রণে শনাক্তের পর সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নো ইয়োর রিস্ক, নো ইয়োর রেসপন্স’ অর্থাৎ ‘ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকি জানুন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস থাকলেও এ উপমহাদেশে প্রকোপ কিছুটা বেশি। যদিও ডায়াবেটিসের কিছু ঝুঁকি পরিবর্তন করা যায় এবং কিছু যায় না। তবে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। এর বিকল্প নেই। পরিবারে কারও ডায়াবেটিস হলে অন্য সদস্যদেরও তার সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা জীবনের আনন্দ-উল্লাস কেড়ে নিতে পারে। তাই রোগীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও সচেতন হতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীকে ডায়েট, খাবার ও ওষুধ তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে। যেহেতু এটি জীবনব্যাপী রোগ, তাই রোগটির চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সেলিংয়ে চিকিৎসকদের ভূমিকাও প্রয়োজন।

দেশে ডায়াবেটিস দ্রুত বাড়ার পেছনে নগরায়ণ, পরিবেশদূষণ এবং গড় আয়ু বৃদ্ধি বড় কারণ বলে মনে করা হয়। সমীক্ষা বলছে, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ লোক ডায়াবেটিসে ভুগছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ভেতরে এ রোগের অনুপাত ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় রোগটির প্রাদুর্ভাব ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। তাই সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছি, তা জনগণকে বোঝাতে হবে। ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ আরও জোরালো হবে-এটাই প্রত্যাশা।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102