May 18, 2024, 11:47 pm
ব্রেকিং নিউজ

পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

রিপোর্টারের নাম:
  • আপডেট টাইম Saturday, November 11, 2023
  • 51 দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি, ডায়াবেটিসজনিত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এবং এতে মৃত্যু বেড়েই চলছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় ডায়াবেটিক রোগী উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আরও ভয়ংকর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে প্রতি দশজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যাদের ৯০ শতাংশই ডায়াবেটিস-২ আক্রান্ত। এই রোগীদের অর্ধেকই আবার শনাক্তের বাইরে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শনাক্তকরণ, দেরিতে চিকিৎসা গ্রহণের কারণে জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগটি নিয়ন্ত্রণে শনাক্তের পর সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে শনিবার বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির উদ্যোগে যুগান্তর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ডায়াবেটিস : আপনার ঝুঁকি ও করণীয় জানুন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

বৈঠকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বারডেমের পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান। এছাড়াও সোসাইটির সভাপতি (নির্বাচিত) ও ইউনাইটেড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমএইউ) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম, সহসভাপতি ও বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা, বৈজ্ঞানিক ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম সাইফুদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ও বিএসএমএমইউ-এর এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফা মোস্তারী, সহসভাপতি ও বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নিটোরের (পঙ্গু হাসপাতাল) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আফসার আহম্মাদ মেরাজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম মহিউদ্দীন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদ ইফরাদ বিন রউনাক, নির্বাহী ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মির্জা শরিফুজ্জামান, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম ও সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল খায়ের চৌধুরী।

বৈঠকে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন যুগান্তরের স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম। আয়োজনটির সহযোগিতা করেছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লিমিটেড।

অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নো ইয়োর রিস্ক, নো ইয়োর রেসপন্স’ অর্থাৎ ‘ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনার ঝুঁকি জানুন এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।’ তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের কিছু ঝুঁকি পরিবর্তন করা যায় এবং কিছু যায় না। সারা বিশ্বেই রোগটি আছে। এই উপমহাদেশে প্রকোপ কিছুটা বেশি। কারও পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বংশে ডায়াবেটিস থাকলে সেক্ষেত্রে অন্যরা কায়িক পরিশ্রম না করলে, ওজন ও মেদ বাড়লে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন। এছাড়া হার্টের রোগী, উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন, কোলেস্টরেল বেশি, ধূমপায়ী, শরীরে ইনুসলিনের কার্যক্ষমতা কম; তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ঝুঁকি কমাতে পারলে রোগটি প্রতিরোধ সম্ভব। বাংলাদেশেও ডায়াবেটিক সমিতি বিভিন্নভাবে কাজ করছে। তাই কারও ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে নিকটস্থ হাসপাতাল বা সেন্টারে গিয়ে রোগটি নির্ণয় করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনমানের পরিবর্তন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ হাফিজুর রহমান বলেন, আইডিএফ-এর সবশেষ তথ্যমতে বিশ্বে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি দশজনে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত। প্রতি ছয়জনে একজন প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশে পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে প্রতি সাতজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং প্রতি চারজনে একজন প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দেশে ডায়াবেটিস দ্রুত বাড়ার পেছনে নগরায়ণ, পরিবেশ দূষণ এবং গড় আয়ু বৃদ্ধি বড় কারণ।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের লক্ষণ থাকা বাঞ্ছনীয়; কিন্তু সবার ধরন একরকম নয়। যেমন: টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব, পানি পিপাসা পাওয়া, ক্ষুধা বেড়ে যায়, ওজন কম ও দুর্বলতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রতি চারজনে তিনজন লক্ষণবিহীন অবস্থায় কোনো কোনো কারণে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী মনে করেন যে তিনি রোগটিতে আক্রান্ত নন। তারা দীর্ঘদিন পরে কোনো জটিলতা দেখার পর চিকিৎসকের কাছে আসছেন। এক্ষেত্রে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি, কিডনি জটিলতা, স্ট্রোক ও স্ট্রোক-পরবর্তী শরীরের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার আওতায় আসা জরুরি।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা বলেন, ডায়াবেটিক রোগীদের করণীয়গুলোর মধ্যে প্রথম কাজ খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ। এরপরই রয়েছে শারীরিক ব্যায়াম। ব্যায়ামে মানুষের শরীর সক্রিয় হয়। শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে।

ফলে ডায়াবেটিস চিকিৎসার সঙ্গে প্রত্যেক রোগীকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যায়াম করতে উদ্বুদ্ধ করি। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট বা দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে বলি। সপ্তাহের সাতদিন সম্ভব না হলেও পাঁচদিন করতে বলি।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম সাইফুদ্দিন বলেন, ডায়াবেটিক রোগী সারা দিনে যা খাবে, এর মধ্যে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২০ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন, ৩০ থেকে ৩৫ ফ্যাট হতে হবে। এর সঙ্গে ভিটামিন ও মিনারেলজাতীয় উপাদান থাকতে হবে। ডায়াবেটিক রোগীকে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে হালকা নাশতা, ১১টার দিকে হালকা ফলমূল, দুপুর ২টার দিকে দুপুরের খাবার, বিকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টায় হালকা স্ন্যাকস, রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাতের খাবার এবং ১১টার মধ্যে হালকা কিছু খাবার খেতে বলি।

সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফা মোস্তারী বলেন, ডায়াবেটিসে তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না বলে এটি নীরব ঘাতক রোগ। তাই একজন রোগীকে সবার আগে রোগটির ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে জানা দরকার। রোগটি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না দেখতে রক্তের শর্করা পরিমাপ করা উচিত। একইভাবে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা দেখতে বছরে দুই থেকে তিনবার পরীক্ষা করা। প্রস্রাবের অ্যালবুমিন যাচ্ছে কি না, কিডনির ক্রিয়েটিনিন মাত্রা জানতে পরীক্ষা করা। যকৃতে ফ্যাটি লিভার জমছে কি না দেখতে লিভার ফাংশন পরীক্ষা করা জরুরি।

এন্ডোক্রাইন সোসাইটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নিটোরের (পঙ্গু হাসপাতাল) এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আফসার আহম্মাদ মেরাজ বলেন, ডায়াবেটিক রোগীকে ডায়েট, খাবার ও ওষুধ তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে।

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম যমুনা গ্রুপ ও যুগান্তরের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আপনাদের পেশা মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত। আজ এখানে আপনারা যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন, এতে পত্রিকার পাঠক, অনলাইন শ্রোতা সবাই উপকৃত হবে। ডায়াবেটিস জীবনব্যাপী রোগ, তাই রোগটির চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সেলিংয়ে চিকিৎসকদের ভূমিকা রাখতে হবে।

অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ আমিন বলেন, ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টের জন্য তিনটি ভাগ আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ডায়েট, ব্যায়াম আরেকটি অচ্ছে ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় করা। ওষুধের মধ্যে একটি হলো ইনসুলিন। দুই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। এর মধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিস যখন শরীরে হয়, তখন শরীরে একবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। সেসব রোগীকে ইনসুলিন না দেওয়া হলে জটিলতা বাড়ে। টাইপ-২ রোগীদের চিকিৎসার ওষুধ দেওয়া হলেও শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না। সেক্ষেত্রে দেখা যায় ওষুধ খাওয়ার পরও যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না, ওষুধের ডোজ বাড়ালেও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আসছে না, সেই রোগীদের ইনসুলিন শুরু করতে হবে। যত দেরিতে ইনসুলিন শুরু করা হবে ততবেশি জটিলতা তৈরি হবে।

সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম মহিউদ্দীন বলেন, ডায়াবেটিস চিকিৎসায় যেসব ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা বৈজ্ঞানিক গাইডলাইন পালন করে না। এসব ওষুধের সায়েন্টিফিক কোনো ভিত্তি নেই। বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা না নিয়ে এসব ওষুধসেবন করে ডায়াবেটিস আরও বেড়ে যাচ্ছে।

ডা. আহমেদ ইফরাদ বিন রউনাক বলেন, জনগণকে বোঝাতে হবে আমরা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছি। বাংলাদেশের ডায়াবেটিস চিত্রের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ লোক ডায়াবেটিসে ভুগছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভেতরে এই রোগের অনুপাত হচ্ছে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় রোগটির প্রাদুর্ভাব ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

সহকারী অধ্যাপক ডা. মির্জা শরিফুজ্জামান বলেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ দুটিই দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এতে কিডনি বিকল ও অন্ধত্ব হতে পারে। ৫০ শতাংশ রোগী ডায়াবেটিসের মধ্যে বাড়তি উচ্চরক্তচাপ ঝুঁকির মধ্যে আছে। ডায়াবেটিস হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা মারুফা শেফিন গর্ভাবস্থা নারীরা ডায়াবেটিস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে বলেন, যখন কোনো মা ডায়াবেটিস অবস্থায় গর্ভধারণ করতে চাইবেন, তখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মা যখন একটি সন্তান জন্মদান করবেন, সেই সন্তানটি মায়ের পেটে বড় হতে থাকবে, তখন থেকেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে হবে। চার ধরনের ডায়াবেটিসের মধ্যে একটি হলো গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস। এটে শুধু নারীরাই ভুগে থাকেন। ডায়াবেটিস আক্রান্ত মা সন্তান নিতে চাইলে আগে থেকেই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর সঙ্গে অন্যান্য রোগ থাকলে তা চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়া যেসব নারীর ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে তাদেরও গর্ভধারণের পূর্বে পরীক্ষা করাতে হবে।

যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম বলেন, কিটো ডায়েট ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য প্রস্তুতি ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যেসব আলোচনা হয়েছে, তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যুগান্তর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, জাংকফুড গ্রহণ, ধূমপানের কারণে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে। সময়মতো প্রতিরোধ করা গেলে ডায়াবেটিক রোগীদেরও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।

যুগান্তরের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, এখানে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ডায়েট, ওষুধ ও শৃঙ্খলা-এই তিনটি বিষয় মেনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যুগান্তর সব সময় স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সূত্র-যুগা্ন্তর

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...
themesba-lates1749691102