ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। মঙ্গলবার বাদ আসর নগরীর আকুয়া মোড়ল বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় আকুয়া মোড়ল বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য মঙ্গলবারও ভক্তরা মোড়লবাড়ি ভিড় জমান।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের তিন কন্যার মধ্যে দুই কন্যা অস্ট্রেলিয়া থাকায় মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দুই কন্যাসহ স্বজনরা অস্ট্রেলিয়া থেকে ময়মনসিংহে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় বাবার মরদেহের পাশে বারবার মূর্ছা যান তারা।
বিকাল সাড়ে ৩টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকায় নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। এরপর বিকাল ৪টায় মরদেহ নেওয়া হয় নিজ জন্মস্থান নগরীর আকুয়া মোড়ল বাড়ি এলাকায়। সেখানেও শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
এ সময় নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাতুল হাসান, বাকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদ্দৌস জিল্লুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ জানাজায় শরিক হন।
সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গত ২৭ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর ধোপাখোলা নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ২৮ আগস্ট দিনভর মরদেহ নগরীর আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ ও শীববাড়ির দলীয় কার্যালয়ে রাখা হলে হাজারও নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
সোমবার বাদআসর নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লাখো মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন।