অনলাইন ডেস্ক:
কোরীয় বন্দরে পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ মার্কিন সাবমেরিন পৌঁছার পরই জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
দীর্ঘ ৪২ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাবমেরিন। সেটি কোরীয় বন্দরে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং বুধবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের পূর্ব সাগরে ছুড়েছে।
জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে জানিয়েছে, এগুলো জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের বাইরে পড়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, “প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে ৫৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়। দ্বিতীয়টি ৫০ কিলোমিটার উপরে ওঠে ৬০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়।”
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপের (এনসিজি) প্রথম বৈঠকে মিলিত হওয়ার পরই নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এনসিজির লক্ষ্য হল— দক্ষিণের ওপর যদি কোনও হুমকি আসে পারমাণবিকসহ সব সামরিক শক্তি ব্যবহার করে তাদের রক্ষা করা হবে।
বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এনসিজির বৈঠকের দিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দর নগর বুসানে নোঙর করেছে পারমাণবিক সাবমেরিন ইউএসএস কেন্টাকি। ১৯৮১ সালের পর যা দক্ষিণের মাটিতে মার্কিনিদের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন আসার ঘটনা। সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, আল জাজিরা