হোসেন মনির :
কুমিল্লা লালমাই পাহাড়ে ‘মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারী স্কুলে’ নবীন বরণ এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরন রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারী স্কুলে লেন ডোনার কুমিল্লার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী তারিক-উল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপক জাপানের নাগরিক, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তোশিকো অনিশি।
অনুষ্ঠানে প্রীতিভোজের শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগীদের পুরুস্কার বিতরন করেন মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারী স্কুলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপক জাপানের নাগরিক, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তোশিকো অনিশি ও তারিক উল ইসলাম মজুমদার,এরিসান,আসাদা সান, সাংবাদিক ইয়ামানা নাসা,কুমি সান,ইয়োরিকা প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মজুমদার ওয়ান ড্রপ স্কুলের সিন্সিপাল নাহিদ আক্তার,প্রধান শিক্ষিকা লাভরী আক্তার,সহকারী শিক্ষিকা নাজমা আক্তার,জেসমিন আক্তার,নুরজাহান,শাহিদা আক্তার এবং জান্নাত আক্তার।
জানা যায়,২০১৬ সালে লালমাই পাহাড়ারে সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে জাপান এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে সর্ম্পূণ বিনা খরচে গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া করার জন্য বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী তারিক-উল ইসলাম মজুমদার ৪০শতক জায়গায় দেন।
তারিক-উল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারী স্কুল’ ৮ম বর্ষে পর্দাপণ করতে যাচ্ছে। জাপানিদের সহযোগীতায় কুমিল¬ার লালমাই পাহাড়ে মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারি স্কুলটি করতে পেরেছি । স্কুলে এলাকার তৃণমূল দরিদ্র শিশুরা লেখাপড়া করছে। তিনি বলেন, স্কুলটি দেখলে মনে হবে লালমাই পাহাড়ের মধ্যে যেন এক টুকরো জাপান। ৪৫ জন জাপানি নাগরিক ‘ওয়ান ড্রপ’ নামে একটি সংগঠন চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, জাপানীরা বছরে দুই বার এসে স্কুলটি পরিদর্শন করে যায়। এই জায়গায় আরো একটি ভোকেশনাল স্কুল করার পরিকল্পনা আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, শিক্ষা হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। এজন্য আমাদের অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যেনতেনভাবে শিক্ষা বিস্তার করা হলেই জাতি প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারবে না। এজন্য অবশ্যই মানসম্পন্ন শিক্ষার দরকার। আগামীতে আমরা একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পরবো, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ আরো বাড়াতে হবে। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
স্কুলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপক তোশিকো অনিশি বলেন, ৪৫ জন জাপানি নাগরিক ‘ওয়ান ড্রপ’ নামে একটি সংগঠন চালাচ্ছেন। এই সদস্যদের বাইরে বন্ধুবান্ধবরাও বিভিন্ন সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। ওয়ান ড্রপের সহায়তায় স্কুলটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে। স্কুল তৈরিতে ওয়ান ড্রপ ৬০ শতাংশ অনুদান দেয়। স্কুলের পোশাক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ দিচ্ছেন তারিক-উল ইসলাম মজুমদার ।