হায়দার আলী (স্টাফ রিপোর্টার) চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে বন্ড সুবিধায় আনা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা মূল্যের ৪ টি চালানে ১০৮ দশমিক ৪৭ টন ফেব্রিক্স কাপড় আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তারা। এর শুল্কায়ন যোগ্য মূল্য প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা।
৪ জানুয়ারি (বুধবার) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মোঃ বশির আহমেদ। তিনি আরও বলেন, “বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা ৪ টি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে চিহ্নিত করা হয়। এ ৪টি কন্টেইনারের চালান সমূহ বন্দরের প্রতিনিধি ও কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফোর্সরা কিপডাউন করে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এ
৪ টি চালানের মধ্যে বিএল এ-র শিপিং এজেন্ট এমসিসি ট্রান্সপোর্ট (মার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩ টি এবং বিএল এ-র শিপিং এজেন্ট ইউরো ম্যাক্স লজিস্টিকস লিমিটেডের ১ টি চালান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তদন্তকালে সকল প্রাপ্ত ডকুমেন্টসে দেখা যায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের এর নামে সব ইস্যু করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান এ-র প্রতিনিধিদের আবেদনের ভিত্তিতে বেপজা কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে আইপিও ইস্যু করা হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিষয়টি অস্বীকার করলেও আমদানির ডকুমেন্টস গুলিতে বিষয়টি স্পষ্ট। আমদানির দলিলাদিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে বেপজা থেকে আইপি গ্রহণ করা সহ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসাজশ রয়েছে। এরা পরস্পরের যোগসাজশে বন্ড সুবিধা নিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে এসব চালান গুলো খালাস নেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের কিংবা ব্যক্তি বন্ড সুবিধা নিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের অবৈধ মওজুদ, সরবরাহ এবং খোলা বাজারে বিক্রি অথবা বিক্রির চেষ্টা করা চোরাচালান বলে গণ্য করা হবে। আমদানিকৃত এসব পণ্য চোরাই পথে বা খোলাবাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করা রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার সামিল।”
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও বলেন, “যাহা ১৯৬৯ সালের দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় রাস্ট্রের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে কাস্টমস হাউসে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিএল সমূহের বিপরীতে আইনানুসারে কোনো বৈধ এলসি কিংবা বৈধ সেলস কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা না পাঠানোর জন্য অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।”