অনলাইন ডেস্ক: ৫০ হাজার বছর আগেও একবার পৃথিবীতে আসে ‘সি/২০২২ ই৩’ নামের এই ধূমকেতু। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবার পৃথিবী অতিক্রম করবে। যা একেবারেই খালি চোখেই মানুষ দেখতে পারবে। প্রয়োজন হবে না টেলিস্কোপের।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশবিষয়ক জরিপ সংস্থা জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বছর মার্চে ধূমকেতুটিকে বৃহস্পতি গ্রহ অতিক্রম করেছে। সৌরজগতের বরফের সীমানা অতিক্রমের পর ১২ জানুয়ারি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবে। ১ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকবে। দূরবিন ছাড়াই খালি চোখেই দেখা যাবে বলে আশা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তবে চাঁদের আলো খুব বেশি থাকলে অর্থাৎ পূর্ণিমা থাকলে ধূমকেতুর স্পষ্টতা কমবে।
ধূমকেতুটি ২০২০ সালে দৃশ্যমান হওয়া ‘নিউওয়াইজ’ থেকে আকারে ছোট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয়েছিল হেল-বপ ধূমকেতু। ১৯৯৭ সালে ৬০ কিমি. ব্যাসের এই ধূমকেতু মানুষ খালি চোখে দেখতে পেয়েছিল।
ধারণা করা হয় ধূমকেতুটি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছে সূর্য থেকে পৃথিবীর যত দূরত্ব, তার থেকে অন্তত ২,৫০০ গুণ বেশি দূরত্বে। শেষবার ধূমকেতুটি পৃথিবী অতিক্রম করেছিল প্যালিওলিথিক সময়কালে। তখন পৃথিবীতে নিয়ান্ডারথাল প্রজাতির অস্তিত্ব ছিল।
প্যারিস অবজারভেটরির একজন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার বলেছেন, ‘বরফ এবং ধুলো দিয়ে তৈরি ধূমকেতুটি সবুজ আভা সৃষ্টি করবে। প্রায় এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।’
বিভার মনে করছেন ধূমকেতুটি ‘উর্ট ক্লাউড’ থেকে এসেছে। অর্থাৎ সৌরজগতের চারপাশে গিরে থাকা বিশাল গোলক যার মধ্যে রয়েছে রহস্যময় বরফ ও বরফসদৃস বস্তু। বিভার জানান, উত্তর গোলার্ধে তা জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দেখা যাবে। তখন ধূমকেতুটি উর্সা মাইনর এবং উর্সা প্রধান নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্য দিয়ে যাবে।
২১-২২ জানুয়ারি সপ্তাহান্তে অমাবস্যার সম্ভাবনা রয়েছে, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য ভালো সুযোগ বলেও মনে করছেন তিনি। জানান, ধূমকেতুটি আমাদের অবাকও করে দিতে পারে। হতে পারে আমরা যতটা উজ্জ্বল ভাবছি তার চেয়ে বেশি দেখার সুযোগ পাব।