যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে হত্যা মামলার এক আসামিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তার নাম রনি শেখ। রোববার রাতে সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় শ্মশানের পাশের খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ইমরোজ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি রনি চাঁচড়া হঠাৎপাড়ার বাবুর আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে রনি শেখ হত্যার বিচারের দাবিতে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে শহরের দড়াটানা থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিলে নিহতের স্বজনরা ছাড়াও প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মিছিল থেকে রনির হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও বিচার দাবি করা হয়।
রনি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে রকি নামে এক যুবককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন জানান, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে একই এলাকার রবিউল ইসলাম ও রকি নামে দুজন তাকে পূজা দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। রোববার তার শ্বশুর (রনির বাবা বাবর আলী শেখ) কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর রকিকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, রকির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁচড়ার নারায়ণপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের শ্মশানের পাশে খাল থেকে তার স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশের একটি সূত্র আরও জানায়, শনিবার রনিকে মদ খাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায় কুলিন বর্মনের ছেলে রকি (১৯)। এরপর আর খোঁজ মেলেনি রনির। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রকিসহ কয়েকজন হত্যা করেছে রনিকে। তার গলা কাটা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আকিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন রনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রোববার সন্ধ্যায় চাঁচড়া দক্ষিণ বর্মনপাড়ার শ্মশানের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে রকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত রনি একই এলাকার নুরু মহুরীর ছেলে ইমরোজ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ইমরোজ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।