অনলাইন ডেস্ক:
২০২৫ সালের হজ প্যাকেজমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ ও বিগত বছরে ‘হাব’ এবং হজ নিয়ে লুটপাট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনাকে সংকটাপন্ন করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিকরা।
আজ শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আখতারউজ্জামান, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, এম এ রশিদ শাহ সম্রাট, ক্বারী গোলাম মোস্তফা, নাজিম উদ্দিন, এম এ তাহের প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আখতারউজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ফরজ এবাদত পবিত্র হজ পালনের কোটা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছর যাবত নানা ধরনের অনিয়ম, লুটপাট ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে বিমান ভাড়া ও হজ প্যাকেজ মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি করে পুরো হজ ব্যবস্থাপনাকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়েছে। ফলে ২০২৪ সালে প্রায় ৪৫,০০০ নিবন্ধিত মুসলমান পবিত্র হজ পালন থেকে বঞ্চিত হন।’
এ দুরাবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে আগামী বছর হজ প্যাকেজমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণে সংবাদ সম্মেলনে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো: হজযাত্রী পরিবহনে ক্যারিয়ার ও বিমান টিকিটের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্সসহ অন্য সকল এয়ারলাইন্সের হজযাত্রী পরিবহনের সর্বোচ্চ ভাড়া ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য তৃতীয় কেরিয়ারের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহন করা হয়। এক্ষেত্রে সৌদি সরকারের সাথে যখন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তখন হজযাত্রী পরিবহনে কোনো এয়ারলাইন্স নির্ধারিত না করে সকল এয়ারলাইন্সের জন্য উন্মুক্ত রাখা হলে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। আগের মতো এজেন্সিপ্রতি সর্বনিম্ন কোটা ৫০ জন ও সর্বোচ্চ কোটা ১৫০ জন করতে হবে। গাইডদের বারকোড ভিসা সরবরাহ না করা হলে হজভিসায় যেতে বাধ্য করলে প্যাকেজমূল্য বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রত্যেক গাইডের জন্য বারকোড ভিসা দিতে হবে। গ্রুপ লিডার ও ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো অবৈধ হজ কাফেলাগুলোকে বন্ধ করে হজ ব্যবস্থপনাকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে হাবের সাবেক সভাপতি সভাপতি এম. শাহাদাত হোসেন তসলিসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।