নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক শাহিদা ইয়াসমিন নীলার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।
ওই প্রভাষক যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান হওয়ায় সরকারি ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শাহিদা ইয়াসমিন নীলা স্নাতকোত্তর শেষ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে গত ১লা জুন ২০১৩ সালে সুসং সরকারি কলেজে যোগদান করেন। একই বছরের জুলাই মাসে এমপিওভুক্ত হন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে ওই কলেজের ২৬ জন শিক্ষককে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক সাহিদা ইয়াসমিন পার্শ্ববর্তী পূর্বধলা উপজেলার খালিশাউড়া ইউনিয়নের খানপাড়া গ্রামের রাজাকার আব্দুল হান্নান খানের মেয়ে। নিজ পরিচয় গোপন রেখে নিজ স্বামীকে পিতার পরিচয় দিয়ে তথ্য গোপন করে ওই কলেজে চাকরি নেন। অনৈতিক কার্যকলাপ ও অশালীন আচরণে সহকর্মী শিক্ষক, কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. ভবানী সাহা ওই প্রভাষককে তার অশালীন ও উশৃংখল আচরণের জন্য শোকজ করেছেন বলেও জানা গেছে। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রধান সম্পাদক হারুণ অর রশীদ কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ডের পৃষ্ঠা নং-৪৩ এ ওই প্রভাষকের পিতা আব্দুল হান্নান খান যে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে রয়েছেন তা উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তান হিসেবে কলেজের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সকল কাজ থেকে তাকে বিরত রাখার জন্য অভিযোগ করেছেন সহকর্মী প্রায় ২০জন প্রভাষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক সাংবাদিকদের বলেন, সাহিদা ইয়াসমিন নীলা আমাদের সঙ্গে দলীয় (আওয়ামী লীগ) প্রভাব দেখিয়ে সব সময়ই খারাপ আচরণ করেন। তার কারণে প্রভাষকদের মাঝে নানা বিষয়েই মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। আমরা এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অভিযোগ বিষয়ে সাহিদা ইয়াসমিন নীলা বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি হয়রানি ও প্রহসনমূলক। আমি অভিযোগ বিষয়ে লিখিত জবাব দিব।
এ নিয়ে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আইনুল হক বলেন, আমি এ সংক্রান্ত একটি অনুলিপি পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে ওই প্রভাষককে কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রদান করেছি। তিনি প্রেরিত নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করে কলেজের ২০ জন প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। যা সম্পূর্ন বিধি পরিপন্থী।