বরিশাল প্রতিনিধি: উচ্চ বেতনে চাকুরির প্রলোভনে ২৩ জনকে সৌদি আরব পাচারের অভিযোগে রিক্রুটিং এজেন্সির পরিচালকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বরিশালের আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বরিশাল মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন পাচারের শিকার এক যুবকের বাবা। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহম্মেদ মামলা এজাহার হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী এরশাদ হাওলাদার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়ির চর খাজুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার আসামিরা হলেন- সৌদি প্রবাসী ও ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার রিক্রুটিং এজেন্সি এসজে গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরাফ হোসেন সিফাত, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা সামসুল হক হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদার ও কুদ্দুস হাওলাদার।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, বাদী এরশাদ হাওলাদারের ছেলে হাসানুজ্জামানসহ ২৩ যুবককে সৌদি আরবের সোলার প্যানেল তাজ আল নাওয়ার ট্রেডিং ইষ্ট কোম্পানীতে মাসিক এক হাজার ৮০০ রিয়াল বেতনে চাকরির প্রলোভন দেয়। এ প্রলোভনে সাড় দিলে প্রত্যেকের কাছ সাড়ে চার লাখ করে মোট এক কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়।
তিনি আরও জানান, ককপরে গত ৪ মে তাদের সৌদি আরবে নেয়া হয়। সেখানে তাদের সোলার প্যানেল কোম্পানীতে চাকরি না দিয়ে একটি হজ প্রকল্পে এক মাস ১৫ দিন কাজ করিয়েছে। পরে তাদের ৬১৫ রিয়াল বেতন দেয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ১২ জন পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাকি ১১ জনের এখনও কোনও হদিস নেই। তাই তাদের সন্ধান পেতে ওই মামলা করা হয়েছে।