(রাজু আহমেদ) স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ী :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ২১ জেলার দ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া – পাটুরিয়া নৌরুটে দীর্ঘদিন ধরে তিনটি ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে সেই সাথে নদীতে রয়েছে স্রোত এর ফলে সাতটি ফেরিঘাটের চারটি দিয়ে যান পারাপার হচ্ছে।
মাঝে মধ্যেই যানজট লেগে থাকলেও আজ ঘাট পার হতে
ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।
আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সরজমিনে গিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘদিন পরে যানজট দেখতে পাওয়া যায়। বাসট্রাকের দীর্ঘ সারির পাশাপাশি ব্যাক্তিগত ছোট গাড়ির জটলা দেখতে পাওয়া যায়। পুজা ও ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণেই এই যানজট বলে মনে করছেন ঘাট সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ সুত্রে জানাযায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে গত সাতই সেপ্টেম্বর ৫ নম্বর ফেরিঘাট ভাঙনের কবলে পড়ে তাছাড়া বাকি এক ও দুই নম্বর ফেরিঘাট ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ হয়ে আছে। এখন দুই নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্ট, পাথর, বালুর কার্গো জাহাজ তাদের পণ্য রপ্তানির কাজে ব্যাবহার করছে। তাই সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে তিনটি ফেরিঘাট পুরোপুরি অচল হয়ে পরে আছে।
দেশের ২১ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দৌলতদিয়ার তিনটি ফেরিঘাটে দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে চারটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
অধিকাংশ চালকরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই প্রায় অর্ধেক যানবাহন চলাচল কমে গেছে। আগের মতো ভোগান্তি নেই। তবে ঘাট তিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এবং দীর্ঘ ছুটির কারণে আজ ঘাটে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া গাড়ি একটু বেশি হলেই ঘাটে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
বিআইডবøউটিএর আরিচা অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন, নদীভাঙনের কারণে ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এর আগেই ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। তাছাড়া নদীতে স্রোত থাকার কারনে ফেরি ঘাটে ভীড়তে সময় লাগছে। নদীর পানি ও স্রোত কমে যাওয়ার পর ফেরিঘাট পুনরায় সচল করা হবে।