অনলাইন ডেস্ক:
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দুদিন ব্যাপী নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু। বুধবার সকাল ১০ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোটের লাইনে এখন কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আইনজীবীদেরই দেখা গেছে। বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের আইনজীবীদের লাইনে দেখা যায়নি।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ সকাল ৭টা থেকেই সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে ছিল শত শত পুলিশের উপস্থিতি। এছাড়া সাদা পোষাকে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
দুই দিন ব্যাপী এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর সময় সকাল ১০ টা। তবে সকাল ৭ টা থেকেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা সমিতি প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হন।
১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগের ঘোষণার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সমিতি প্রাঙ্গণে আহ্বায়ক কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন। একপর্যায়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, হইচই ও হট্টগোল শুরু হয়। সেই সঙ্গে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং আইনজীবী সমিতি ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এবারের নির্বাচন পরিচালনার জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের উপ-কমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল হতে আইনজীবী এজেডএম ফরিদুজ্জামান আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনার উপকমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে গত ২ মার্চ উভয়পক্ষের সম্মতিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি পূর্ণগঠন করা হয়। কিন্তু সোমবার মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগপত্র জমা দেন।