লতিফুর রহমান রাজু’,সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদে দানকৃত কাঁঠাল নিলামে তোলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী এবাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, দুবাইগামী বিমান থেকে সোমবার (১০ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে এবাদুলকে নামিয়ে আনা হয়। হত্যার পরপরই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে উঠেছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে মসজিদের কাঁঠাল নিলাম কে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে এ পর্যন্ত ৪ জন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- হাসনাবাদ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০) এবং আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) এবং হাসনাবাজ গ্রামের আছির মাহমদের ছেলে মুখলেছুর রহমান (৬০)।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরি জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযান জালিয়ে উভয়পক্ষের ৬ জন আটক করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদে দানকৃত একটি কাঁঠাল নিলামে তোলা এবং দাম হাঁকানো নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মুখলেছুর রহমান (৬০)। তিনি হাসনাবাজ গ্রামের আছির মাহমদের ছেলে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজন হয়েছে। এদিকে মুখলেছুর রহমান এ ঘটনায় নিহত কিনা ময়না তদন্তের আগে বলা যাবেনা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ।