লতিফুর রহমান রাজু.সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার এক কিশোরী ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সিএনজি চালক সহ দুই জন কে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ১৬ বছর বয়সী ঐ কিশোরী ভুক্তভোগী জানায়, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে কেনাকাটা করতে তারা তিনজন দিরাই বাজারে আসে। দুইজনের কেনাকাটা আগেই শেষ হওয়ায় তারা চলে যায়। বিকেলে মেয়েটি বাড়ি ফেরার জন্য দিরাই বাসস্ট্যান্ড গিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে আরও দুই যুবক গাড়িতে উঠে। পরে তাকে বাড়ির দিকে না নিয়ে দিরাই-মদনপুর সড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দিকে নিয়ে যেতে দেখে মেয়েটি গাড়ি থামাতে বলে। এ সময় দুই যুবক সিএনজি অটোরিকশার পর্দা ফেলে কিশোরীর হাত মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে একপর্যায়ে শান্তিগঞ্জের গণিগঞ্জ বাজারের কাছে যাওয়ার পর গাড়ি থেকে লাফ দেয়। এতে সড়কে পড়ে তার ডান চোখ, কপাল, গাল, হাত থেতলে যায়। আহত মেয়েটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেন। পরে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসাপাতলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। দিরাই উপজেলার রফিনগরের বাসিন্দা কিশোরীর পিতা একজন কৃষক। তিনি জানিয়েছেন মেয়েটি সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গণিগঞ্জের জনৈক ব্যক্তি ফোনে ঘটনা জানালে সেখানে যান তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিএনজি চালক সহ দুই জন কে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
, সিএনজিসহ চালক ইমন খান (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি দিরাই উপজেলার জকিনগর গ্রামে।
দিরাই থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান আমরা মেয়েটির দিরাই থানার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেও এখনই ডিবি পুলিশ পাঠানো হবে। কিছুক্ষণ পর দিরাই থানা থেকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পুলিশ যাবে। স্পর্শকাতর বিষয়, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।