অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারণে সুইং স্টেটগুলো (যেখানে আগে থেকে অনুমান করা যায় না যে, কে জিতবে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণে এসব রাজ্যে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, বরাবরের মতো এ বছরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে হামলা, সহিংসতা ও ষড়যন্ত্রের উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনি অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে থাকা সুইং তথা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে সাত সুইং স্টেটস হলো—মিশিগান, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা ও নেভাদা। আর এসব অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ পড়ুয়া যেসব শিক্ষার্থী অগ্রিম ভোট দিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই বেছে নিয়েছেন কমলা হ্যারিসকে।
জেনারেশন ল্যাব পরিচালিত এক বুথ ফেরত জরিপ থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, অ্যারিজোনা ও নেভাদা অঙ্গরাজ্যে শিক্ষার্থীদের ভোটের ৭১ শতাংশই গেছে কমলা হ্যারিসের পক্ষে।
জরিপ অনুসারে, যদি কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি প্রতিযোগিতা হয় তাহলে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোটার কমলা হ্যারিসের পক্ষে ভোট দেবেন এবং বাকি ২৪ শতাংশ ভোট দেবেন ট্রাম্পের পক্ষে। তবে নির্বাচনে গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন এবং লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রার্থী চেজ অলিভারও থাকলে কমলা পাবেন ৭২ শতাংশ, ট্রাম্প ২১ শতাংশ, স্টেইন ৫ শতাংশ এবং অলিভার ২ শতাংশ ভোট।
এ থেকে বলা যায়, সুইং স্টেটগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমলা হ্যারিসের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।
নানা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যেই দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসকে আজ দিনভর ভোট দেবেন মার্কিনীরা। তাদের উদ্বেগ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।